বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২ লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প স্থগিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৩:৪৫

গত বছরের ১৯ অক্টোবর ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার লক্ষ্যে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়-সংক্রান্ত প্রকল্পটি নেয়া হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ব্যবহারের জন্য দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প স্থগিত করেছে সরকার।

পরিকল্পনা কমিশন রোববার এক চিঠির মাধ্যমে ইসিকে এ বিষয়ে অবহিত করে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইভিএম প্রকল্পটি বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

‘অর্থাৎ পরিকল্পনা কমিশন আমাদের জানিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রকল্পটির কার্যক্রম প্রক্রিয়া করছে না; বাতিল নয়। এই মুহূর্তে প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘কমিশন আগেই জানিয়েছেন নতুন প্রকল্প পাস না হলে আমাদের কাছে যত মেশিন আছে, তা দিয়ে যতগুলো আসনে করা সম্ভব ততগুলো আসনেই ভোট করব। এটা ৫০টিও হতে পারে, ৬০টিও হতে পারে, ৭০টিও হতে পারে। আমরা পরীক্ষা করে দেখব। যদি আর্থিক সামর্থ্য হয়, তাহলে ভবিষ্যতে হবে।’

গত বছরের ১৯ অক্টোবর ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার লক্ষ্যে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়-সংক্রান্ত প্রকল্পটি নেয়া হয়।

এ নিয়ে গত বছরের ৯ নভেম্বর ‘অনিশ্চয়তায় ১৫০ আসনের ইভিএম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল নিউজবাংলায়, যাতে বলা হয়, আর্থিক সংকটে বরাদ্দ কমলে নির্বাচন কমিশনকে নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্পটিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দেয় পরিকল্পনা কমিশন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন কী ধরনের অবজারবেশন দিয়েছে, সেটা বলতে পারবেন প্রকল্প পরিচালক। অবজারভেশনগুলো দেখার পর কমিশন বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। যদি ভালো পরামর্শ আসে তাহলে অবশ্যই আমরা তা বিবেচনায় নেব।’

সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রজেক্ট আসলে অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কতটুকু টাকা দেবে, তার ওপরে নির্ভর।

‘সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে, বাংলাদেশ তো তার বাইরে না। ইভিএমের যে ব্যয় তার অধিকাংশই ফরেন কারেন্সিতে করতে হবে; বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। রিজার্ভের সমস্যা থাকতে পারে, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে। প্ল্যানিং কমিশন জানালে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর