বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘চট্টগ্রামের মাধ্যমে সমুদ্রবন্দরের অভাব পূরণ করতে পারে নেপাল’

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:০০

সিটি মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে যে উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রামের অবকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নেপাল চট্টগ্রাম বন্দর ও নগরীর সুবিধা কাজে লাগিয়ে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও অনেক বেশি প্রসারিত করতে পারে। এক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’

নেপাল চাইলে নিজেদের সমুদ্রবন্দর না থাকার অভাব চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পূরণ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রোববার তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় সিটি মেয়র বলেন, ‘আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের অবকাঠামোর উন্নয়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে। এসব প্রকল্পের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম কেবল বাংলাদেশ নয় দক্ষিণ এশিয়ারও প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হবে। নেপালের নিজস্ব সমুদ্র বন্দর না থাকার ঘাটতিটি নেপাল চাইলে চট্টগ্রামের মাধ্যমে পূরণ করতে পারে।

‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে যে উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রামের অবকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নেপাল চট্টগ্রাম বন্দর ও নগরীর সুবিধা কাজে লাগিয়ে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও অনেক বেশি প্রসারিত করতে পারে। এক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নেপালের অবদানের কথা আমৃত্যু শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নেপাল আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে সামরিক ও বেসামরিকভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা আমরা চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও যখন অনেক দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে গড়িমসি করছিল তখন নেপাল স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই ১৯৭২ সালের ১৬ই জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।’

এ সময় রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, ‘নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহজেই ১০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছানো সম্ভব। এ ছাড়া বাংলাদেশে যে দ্রুতহারে শিল্পায়ন হচ্ছে তার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি পেতে নেপালের সবুজ জ্বালানি উৎপাদনের সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ।

‘আমরা যৌথ বাণিজ্য বৃদ্ধিতে চট্টগ্রামের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও নেপাল উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।’

রাষ্ট্রদূত বাংলা ভাষা শিখছেন জানিয়ে বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ নেপালি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং চট্টগ্রামে ঘুরে যে আন্তরিক ভালবাসা পেয়েছি তাতে মুগ্ধ। আমি নিজেও বাংলা ভাষা শিখছি। আশা করি মেয়রের সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষাৎকারে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারব।’

এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলা ও নেপালি ভাষার মধ্যে সংস্কৃতি ভাষার উৎসসূত্রে মিলের বিষয়টি তুলে ধরেন। মেয়র সম্প্রতি নেপালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, শৈবাল দাশ সুমন, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী,নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি সুভাশ মাগারসহ অনেকে।

পরে নেপালের রাষ্ট্রদূত সিটি মেয়রকে নেপালের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প উপহার দেন এবং মেয়র চসিকের মনোগ্রামখচিত ক্রেস্ট ও উপহার রাষ্ট্রদূতকে হস্তান্তর করেন।

এ বিভাগের আরো খবর