প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি করায় বগুড়ায় এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই দণ্ডের পাশাপাশি ওই ঘরের বরাদ্দও বাতিল করা হয়েছে। জব্দ হয়েছ বিক্রি করা বাড়ি দলিল।
সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের কদমতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম ফিরোজা পারভীন আদালত পরিচালনা করেন ।
দণ্ডপ্রাপ্ত ৫২ বছর বয়সী জামরুল শেখ ওই এলাকার মৃত ছায়েদ আলী শেখের ছেলে।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. ইদ্রিস আলী আকন্দের কাছে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের বরাদ্দ হওয়া ঘরটি বিক্রি করেন মো. জামরুল শেখ।
১০০ টাকা মূল্যের একটি স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা লিখে এবং বিক্রি করা উপহারের ঘরের দলিল ইদ্রিস আলীকে বুঝিয়ে দেয় জামরুল।
এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন ইউএনও ফিরোজা পারভীন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য এরুলিয়া ইউনিয়নের কদমতলীতে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে৷ ওই প্রকল্পের ১২ নম্বর বাড়ি জামরুল গৃহহীন হওয়ায় বরাদ্দ পান।
তিনি জানান, তবে তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওই প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা ইদ্রিস আকন্দের কাছে ৭০ হাজার টাকায় বরাদ্দ পাওয়া ঘরটি বিক্রি করে দেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জামরুলকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিক্রি সঙ্গে কোনো চক্র বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি এই ঘরগুলো প্রাপ্য মানুষদের হাতে তুলে দিতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
মুজিব শতবর্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য কৃষি খাস জমি বন্দোবস্তের কবুলিয়ত নামার ১৩ এবং ১৪তম ধারায় বলা আছে, জমির সব বা কোনো অংশ বিক্রয়, দান বা অন্য কোনো উপায়ে হস্তান্তর করা যাবে না। তবে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে চাষাবাদের প্রয়োজনে এই জমি কোনো ব্যাংক বা সমবায় সমিতির অথবা সরকারের কাছে বন্ধক রাখা যাবে।