দেশের মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে শুক্রবার একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘‘যখন বঙ্গবন্ধুর জন্য পাকিস্তান জেলে কবর খোঁড়া হয়েছিলো, তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে ফাঁসি দাও, কিন্তু আমার লাশটা বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দিও।’ এটাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম।
সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট উনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনার দুর্বলতা কী? বঙ্গবন্ধু জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালিকে অনেক ভালোবাসি’। এ অতিরিক্ত ভালোবাসা বিশ্বাসই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’’
জাতির পিতার সোনার বাংলার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে উল্লেখ করে সংসদ উপনেতা বলেন, ‘আজ পাকিস্তান বাংলাদেশ হতে চায়। তারা বলে, সুইজারল্যান্ড নয় পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানিয়ে দেন। আর আমাদের রাজনীতিতে কিছু অঘোর কবিরাজ আছে, যারা কিছু বিদেশি ডিগ্রির জোরে নিদান হাঁকেন, তবে তাদের ভবিষ্যদ্বানী সত্যি হয়নি।’
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন,‘ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়া, এরশাদ, খালেদা ভুল ইতিহাস প্রচার করেছিল। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এর বয়স ৫১ বছর। এরমধ্যে ৩০ বছর আমরা অন্ধকারে ছিলাম। দেশে গণতন্ত্র ছিল না। পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে শতাব্দী প্রাচীন, কিন্তু তার চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্তব্যবোধ অনেক বেশি।
তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের গণঅভ্যুত্থানের ভয় দেখায়। আমরা এর মাধ্যমেই আইয়ুব খানকে বিতাড়িত করেছি। আমরা গণঅভ্যুত্থানকে ভয় পাই না। আগামীতে কোনো গণঅভ্যুত্থান হলে সেটা হবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে।’
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ আরও অনেকেই।