বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুকে বলাৎকারের চেষ্টা ও হত্যার পর তাবলিগে পালায় নাসির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৪৮

২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিখোঁজ হয় ছয় বছরের ওই ছেলে শিশু। পরদিন সকালে মাজুখান উত্তরপাড়ায় একটি বাড়ির সামনে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ২৬ সেপ্টেম্বর পুবাইল থানায় মামলা করেন নিহতের দাদি।

গাজীপুরের মাজুখান বাগের টেক এলাকায় ছয় বছরের শিশুকে বলাৎকারের চেষ্টা ও হত্যার পর নিজেকে সন্দেহের বাইরে রাখতে ৪০ দিনের জন্য তাবলিগে চলে যান নাসির মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তাবলিগ থেকে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার।

ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর শিশু বলাৎকারচেষ্টা ও হত্যা মামলারি এই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) গাজীপুর ইউনিট।

পালিয়ে থাকার কৌশল হিসেবে নাসির চিল্লায় চলে যান বলে পিবিআইকে জানিয়েছেন। পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিখোঁজ হয় ছয় বছরের ওই ছেলে শিশু। পরদিন সকালে মাজুখান উত্তরপাড়ায় একটি বাড়ির সামনে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ২৬ সেপ্টেম্বর পুবাইল থানায় মামলা করেন নিহতের দাদি।

প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তদন্তভার পায় পিবিআই। নাসিরকে গত ১৮ জানুয়ারি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯ জানুয়রি তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার জানান, নাসির মিয়া মাজুখান উত্তরপাড়ায় ফারুকের মুরগীর দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। বেশির ভাগ সময় মালিক দোকানে থাকতেন না। নাসির নিজেই মুরগী ও ফিড বেচা কেনা করতেন।

তিনি জানান, পাশের গলির একটি ছেলে শিশু মাঝেমধ্যে তার কাছে দোকানে আসতো। নাসির মাঝেমধ্যে তাকে চিপস কিনে দিতেন। এভাবে তার সঙ্গে নাসিরের ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়।

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আসামি নাসির একই মহল্লায় ইমনদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সময় ওই শিশু নাসিরের রুমে যায়। তখন নাসির তাকে বলৎকার করতে চাইলে সে চিৎকার দেয়।

তারা জানান, নাসির মুখ চেপে ধরে তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটি মারা যায়। মরদেহ খাটের নিচে রেখে দরজা লাগিয়ে নাসির বাইরে চলে যান। পরে ভোররাতে মরদেহ সালাম মুন্সীর বাড়ির পাশে ফেলে রাখেন তিনি। ঘটনার ৩ দিন পরে নাসির এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে যান। দুদিন পরে চিটাগাং থেকে ফিরে আসেন। এর এক সপ্তাহ পর নাসির ৪০ দিনের জন্য চিল্লায় (তাবলিগে) চলে যান।

তাবলিগ থেকে ফিরে এসে নাসির গাজীপুরেই কাজ করছিলেন এবং সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর