বিএনপি কীভাবে গণতন্ত্র শেখাবে, সে প্রশ্ন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওয়ান-ইলেভেনের অন্যতম কারণ সাবেক ক্ষমতাসীন দলের ভোট চুরি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে ‘গণতন্ত্র নষ্টকারী’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্রকে নষ্টকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাব। বিদেশি কারও ফরমায়েশে চলবে না।
‘শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ‘মৃত ইস্যু’ বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা।
‘আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশীদারত্বমূলক। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে’, বলেন কাদের।
যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ থাকে দাবি করে সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাত দশকের ইতিহাস আছে দলটির।
তার ভাষ্য, ‘আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, কিন্তু বারবার হত্যা, রাজনীতির শিকার হয়। এটাই বাস্তবতা। আজকে বিএনপি কখন যে কী বলে! তাদের ভেতরে গণতন্ত্র নেই। সম্মেলন হয় না কতদিন তাদের। নিজেরাই কমিটি দেয়।
‘তারা কীভাবে গণতন্ত্র শেখাবে আওয়ামী লীগকে? তাদের আমলে ভোট চুরির রেকর্ড হয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। ওয়ান-ইলেভেনের জন্য এটা অন্যতম কারণ।’
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন, যা বাংলাদেশে ‘ওয়ান-ইলেভেন’ নামে পরিচিত।
বিএনপির মুখে গণতন্ত্র মানায় না বলে দাবি করেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘তারা গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণ করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। এ দেশে গণতন্ত্রের যত অর্জন, পঁচাত্তর পরবর্তী গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে তার অগ্রভাগে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে।’