শেরপুর সদরে বাড়ির পাশের কাঠ বাগানে এক কৃষকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে খুন করেছে প্রতিপক্ষ।
উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া পূর্ব পাড়ায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির পাশের বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ৫৫ বছরের রফিকুল ইসলাম প্রতাবিয়া পূর্ব পাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোহাম্মদ আবু সাইম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দুই একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল তার চাচাতো ভাই আঙ্গুর ও কেনা গংদের।
এ নিয়ে রফিকুলের একাধিক মামলাও রয়েছে। গতকাল একটি মামলায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসে রফিকুল। অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে রাত ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি।
শুক্রবার সকালের দিকে বাড়ির পাশের একটি কাঠবাগানে রফিকুলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
তার বড় ভাই সামসুল হক বলেন, ‘দুই একর জমির সঠিক কাগজ-পত্র থাকার পরেও ভুলে চাচাতো ভাই ইয়াকুব ও অন্যদের নামে বিআরএস রেকর্ড হয়। রেকর্ড বাতিলের মামলাও আদালতে চলমান। কিন্তু এর পরেও ইয়াকুবের ছেলে আঙ্গুর মিয়া রফিকের সরলতার সুযোগ নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করে রাখে। এ জমি নিয়েই আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে।
‘আমার ভাইকে জবাই করে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে খুন করার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এলাকাবাসীর দাবি, রফিকুল ইসলাম একজন শান্ত ও সহজ সরল কৃষক। তার তিন পুত্র সন্তান নিয়ে নিরীহ জীবন যাপন করতো সে। তাকে খুন করার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি তাদের।
ওসি সাইম বলেন, ‘এ ঘটনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আমরা চেষ্টা করছি হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য। মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’