উত্তরের জেলা নওগাঁয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এ সময় যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ শৈত্যপ্রবাহ গভীর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। তাপমাত্রা নেই বললেই চলে।
বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের সূত্র মতে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শহরের মাস্টারপাড়ার শ্রমজীবী জাফর আলী বলেন, ‘প্রচুর শীতে কাজ করা মুশকিল হয়ে গেছে। তেমন কাজও পাচ্ছিনা। কাজ না করতে পারলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাবে।’
সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের কৃষক জুলফিকার দেওয়ান বলেন, ‘এত ঠাণ্ডা পড়েছে যে ক্ষেতে কাজ করতে পারছিনা ঠিকমতো। একটু কাজ করে আবার আগুনের তাপ নিতে হচ্ছে। বোরো মৌসুম চলছে তাই জমি প্রস্তুত করতে হচ্ছে।’
একই এলাকার রুবেল হোসেন নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘খুব শীত। কুয়াশা কম হলেও শীত বেশি। এর মাঝেই কৃষি কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। কাজ না করলে তো পেটে ভাত জুটবেনা।’
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ২টার পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি। আরও কয়েকদিন নওগাঁয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।’
নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৫০০টি শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে কিছু সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে।