বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভিএম নিয়ে ধোঁয়াশায় ইসি

  • প্রতিবেদক, ঢাকা   
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:২৪

১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাস না হলে দেড়শ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলেছিলেন, এখন আপনাদের কী অবস্থান-এই প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আলমগীর বলেন,‘ আমরা তো বলেছিলাম সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করব। এটা একজাক্ট বলা যায়নি কারণ কতটা ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করতে পারব। ’

ব্যালট থেকে সরে এসে সর্বাধিক দেড়শ আসনে ইলেকট্রানিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের যে পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তা এখনও অনেকটা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। ১৫ জানুযারির মধ্যে প্রকল্প পাস না হলে দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলে কমিশনাররা এর আগে একাধিকবার ঘোষণা দিলেও এখন সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে কমিশন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘১৫ তারিখ বলা মানেই তো ১৫ তারিখ নয়। দু’এক দিন এদিক-সেদিকও হতে পারে।’

১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাস না হলে দেড়শ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলেছিলেন, এখন আপনাদের কী অবস্থান-এই প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আলমগীর বলেন,‘ আমরা তো বলেছিলাম সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করব। এটা একজাক্ট বলা যায়নি কারণ কতটা ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করতে পারব। ’

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন,‘ ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইনস্টল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে করা সম্ভব না। এখনো আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা হিউজ কাজ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে।’

ইভিএম কেনার জন্য কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন যে প্রকল্প নেয় তাতে ২ লাখ ইভিএম কেনাসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কেটি ৪৪ লাখ টাকা।

দুই লাখ না হয়ে আরো কম হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ হয়ত এক লাখ হতে পারে। কমও তো হতে পারে। তবে পরিকল্পনা কমিশন এখনো ইয়েস বা নো কোনোটাই তো বলেনি। চূড়ান্তভাবে তারা কিছু বললে আমরাও বলতে পারব।’

ছয় সংসদীয় উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার অর্থাভাবে বন্ধ হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অর্থটা তো বাৎসরিক ভিত্তিতে দেয়া হয়। বর্তমান অর্থ বছরে যে টাকা দেয়া আছে, যেসব নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি সেগুলোর ব্যয় কিন্তু বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যেই। এটা জন্য কিন্তু আমরা সরকারের কাছে আমরা অতিরিক্ত বাজেট চাইনি। এই আর্থিক মন্দার মধ্যে আমাদের চাওয়াও যুক্তিযুক্ত না।

জাতীয় নির্বাচনে পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট থেকে ব্যয় হবে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘তখন কী লাগবে না লাগবে সেটা ধরে আমরা বাজেট করব। তখন বাজেট দিলে, সেটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ওইটার সঙ্গে এইটার কোনো সম্পর্ক নেই।’

সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে বিএনপিসহ সমমনা বেশ কয়েকটি দল ভোটে ইভিএম মেশিন ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে। তবে বর্তমান কমিশন ভোটের দেড় বছর আগেই কমপক্ষে দেড়শ আসনে ইভিএম ভোট করার সিদ্ধান্ত জানায় সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।

এ বিভাগের আরো খবর