বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারীকে হেনস্তার অভিযোগে ঢাবির ২ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:৩৯

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক নারীকে হেনস্তার অভিযোগে তানজীর আরাফাত তুষার নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক নারীকে হেনস্তা এবং তার স্বামীকে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে এ ঘটনায় তানজীর আরাফাত তুষার নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য রাহুল রায় ও কবি জসিম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজীর আরাফাত তুষারসহ অজ্ঞাত আরও ছয়জন।

এদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্যদিকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাহুল রায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে। তারা দুজনই ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

এ নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ছাত্রলীগে কেউ কারো অনুসারী নয়, সবাই কর্মী। আর কেউ অপরাধ করলে তার শাস্তি তাকে পেতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে তার শাস্তি পাওয়া উচিত। আর কেউ নিরাপরাধ হলে তাকে শাস্তি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘গত রোববার আমার স্বামীকে নিয়ে সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের দিকে যাই। আমার স্বামী বাইক খুব ধীর গতিতে চালাচ্ছিলো। তখন রাহুল এসে আমাকে হেনস্তা করে। এরপর তারা কয়েকজন আমার স্বামীর বাইক থামিয়ে তাকে মারতে থাকে। তখন আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে পাশে থাকা আনসারের চেয়ার নিয়ে আমাকে তিনবার আঘাত করে রাহুল। পরে আমার চেঁচামেচিতে লোকজন জড়ো হয়। এর মধ্যে আমি থানায় গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে আমার স্বামীকে উদ্ধার করেন।

ওই নারী আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে আসে তখন সেখানে আসামিদের সবাই উপস্থিত ছিল। পুলিশ তাদের কিছুই বলেনি।’

এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘অপরাধীদের শনাক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীকে আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তবে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে দেখার জন্য বলা হয়েছে , যাতে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হয়।’

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ‘এরইমধ্যে তুষারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরেক অভিযুক্ত রাহুল রায়কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর