বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমান্তে ফের গুলি, শূন্যরেখায় পুড়ল রোহিঙ্গাদের ৫০০ ঘর

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৬:২৪

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। আগেরদিন বুধবার এই শূন্যরেখার মিয়ানমার অংশে দিনভর গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে আবারও গোলাগুলি হয়েছে। আগুনে পুড়েছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবিরের প্রায় ৫০০ ঘর-বাড়ি। এতে সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ভেতরে আশ্রয় নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। আগেরদিন বুধবার এই শূন্যরেখার মিয়ানমার অংশে দিনভর গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।

তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখা রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালেও এখানে গোলাগুলি হয়েছে। আগুনে আমাদের শিবিরের ৬২১টি পরিবারের মধ্য প্রায় ৫০০ বসতঘর পুড়ে গেছে। এসব লোকজন অধিকাংশ মিয়ানমার সীমানার ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কিছু মানুষ বাংলাদেশেও আশ্রয় নেয়। মূলত শূন্যরেখা থেকে শিবিরটি উচ্ছেদ করতে একটি সশস্ত্র গ্রুপ আগুন ধরিয়ে দেয়।’

তবে এ বিষয়ে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, চার থেকে পাঁচজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অংশে ঢুকে পড়েছে। আমরা তাদের আটক করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তুমব্রু সীমান্তে কোনারপাড়া শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে শিবিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে রোহিঙ্গাদের প্রায় ৫০০ বসতঘর পুড়ে যায়। ফলে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশে বেশকিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

এপারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘আজকে গোলাগুলির বিষয়টি আমার জানা নেই। তুমব্রু সীমান্তের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শূন্যরেখায় হওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনে আমাদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তবে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরে অধিকাংশ বসতঘর পুড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি।’

তুমব্রু শূন্যরেখায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের পর থেকে চার হাজার ২৮০ রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছে।

এর আগে গত বছরর সেপ্টেম্বরে তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার অংশে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী সংঘর্ষ চলে। ওই সংঘর্ষে মিয়ানমার অংশ থেকে মর্টার শেল তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে পড়ে।

ওই সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কয়েক দফা প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে মর্টারশেল পড়ায় মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তারা জানায়, ভুলবশত মর্টারশেল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে পড়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর