বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তারেক-জোবাইদাকে হাজির করতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

  • প্রতিবেদক, ঢাকা   
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৪৮

গত ১ নভেম্বর তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তরি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালত। এরপর একই আদালত গত ৫ জানুয়ারি তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির করতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন বিচারক।

এদিন তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ছিল। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের কোনো মালামাল পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর বিচারক মামলার পরবর্তী প্রদক্ষেপ হিসেবে তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১ নভেম্বর তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালত। এরপর একই আদালত গত ৫ জানুয়ারি তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তারেকের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক।

সেখানে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জোবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।

দুদক এই মামলা করার পর একই বছর তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আলাদা রিট করেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এই মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

এরপর আসামিরা এই মামলা বাতিলের আবেদন করলে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেয়। দীর্ঘ বিরতির পর রিট মামলাগুলো গত ১৯ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে।

এই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন জোবাইদা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তখন এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সেই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ হয়ে যায়।

বিদেশে অর্থ পাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজা ও ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির মামলায় তারেক রহমানের দুই বছরের সাজা হয়েছে।

২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তারের পরের বছর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়ে আর ফেরেননি বিএনপির এই নেতা। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার রাতে তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিএনপি।

তারেকের মতো জোবাইদাও যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তিনি সরকারি চিকিৎসক ছিলেন। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে তাকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর