কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কাঁটাতারের বেড়া কেটে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়ি নিয়ে আসছে তারা।
বাংলা একাডেমি চত্বরে বৃহস্পতিবার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কাজেই ওইখানে আমাদের নরমাল পুলিশ রয়েছে; সে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া এপিবিএন সেখানে নিয়োজিত রয়েছে। কারণ ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে আমরা দেখেছি অনেক রক্তপাত হচ্ছে। তাদের রুটিন ওয়ার্ক করার জন্য আমাদের এবিপিএন সেখানে আছে।
‘এপিবিএন নিয়ে যে সমস্ত কথা হিউম্যান রাইটস ওয়াচে (প্রতিবেদনে) বলা হয়েছে, আমার মনে হয় তাদের এসব বিষয় তথ্যভিত্তিক নয়। তাদের আরও বেশি করে দেখে এসে এ সমস্ত রিপোর্ট করা উচিত।’
এপিবিএনের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সংস্থাটির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ডয়চে ভেলেতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এপিবিএনের সদস্যরা বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের কাছে ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দিলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
রোহিঙ্গারা অন্তর্কোন্দ্বলে জড়াচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নিজেরা নিজেরা গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ডিজিএফআই কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকালকেও (বুধবার) সেখানে গোলাগুলি হয়েছে; বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে একেকটি গ্রুপ প্রতিনিয়ত বিবাদে জড়াচ্ছে; দাঙ্গা-হাঙ্গামায় জড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেষ্টনী দেয়া হয়েছিল, কিন্তু সেসব বেষ্টনী কেটে মিয়ানমারের মূল অংশে গিয়ে (রোহিঙ্গারা) সেখান থেকে ইয়াবা নিয়ে আসছে।’