কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
২৯ বছর বয়সী প্রজ্ঞা মোস্তফাকে হত্যার মামলায় তার স্বামীকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ রায় দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর এম এ আফজাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩৮ বছর বয়সী দেলোয়ার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের উত্তর চাঁনপুর গ্রামের প্রয়াত ইমাম উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে দেলোয়ারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইটনা উপজেলার লাইমপাশা গ্রামের প্রজ্ঞা মোস্তফার। বিয়ের তিন মাস পর বিদেশ চলে যান দেলোয়ার। এরপর সেখানে দুই মাস থেকে খালি হাতে দেশে ফিরে আসেন। তখন থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য প্রজ্ঞাকে চাপ দিতেন দেলোয়ার, কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে পারবেন না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন প্রজ্ঞা। এ নিয়ে প্রায়ই তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন তার স্বামী।
বিবরণে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ২১ মার্চ সকালে আবারও যৌতুকের দাবিতে চাপ দিলে দেলোয়ারের সঙ্গে প্রজ্ঞার কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে গরু জবাই করার ছুরি দিয়ে গলা কেটে প্রজ্ঞাকে হত্যা করে পালিয়ে যান দেলোয়ার। হত্যাকাণ্ডের সময় এ দম্পতির ৩ মাস বয়সী একটি মেয়েসন্তান ছিল।
এ ঘটনায় ২১ মার্চ বিকেলেই প্রজ্ঞার বাবা আহসান মোস্তফা বাদী হয়ে দেলোয়ারকে একমাত্র আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার রাতেই দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মাসুদ মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়ে মামলার বাদী আহসান মোস্তফা বলেন, রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে।