সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের শূন্য পদ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত স্ট্যাটিসটিকস অফ সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১ বইয়ের (জুন, ২০২২ সালে প্রকাশিত) তথ্য অনুযায়ী সরকারের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি কার্যালয়গুলোয় বেসামরিক জনবলের মোট শূন্য পদ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি।
তিনি জানান, এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৪৩ হাজার ৩৩৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৪০ হাজার ৫৬১, তৃতীয় শ্রণির ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৮ এবং চতুর্থ শ্রেণি পদে শূন্য পদ ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮০টি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদে ৫ হাজার ৪৩৬টি শূন্য পদের চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত সুপারিশযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।
আওয়ামী লীগের সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সরকারের অর্থ বিভাগের ২০২২ সালের ২১ জুলাই প্রজ্ঞাপনে পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট (৩২৪৩১০২) খাতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মোট বরাদ্দ অর্থের সর্ব্বোচ ৮০ শতাংশ ব্যয় করার নির্দেশনা রয়েছে। তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে সরকারি গাড়ি ব্যবহার আগের তুলনায় সীমিত করে ২০ শতাংশ সাশ্রয় নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়ে অর্থ বিভাগের নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নে ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২-এর খসড়া প্রণয়ন করে প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হয়। প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির গত ৩১ মে সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত খসড়া বিধিমালাটি ভেটিংয়ের জন্য গত ৪ জুলাই লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ভেটিং দিলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংশোধন (যদি থাকে) করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেয়া হবে। এরপর এসআরও নম্বর দিয়ে গেজেট আকারে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২ জারির জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হবে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নে ফরহাদ হোসেন বলেন, স্ট্যাটিসটিকস অফ সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সরকারি চাকারিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে নারী ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৯১ জন, যা মোট চাকরিজীবীর প্রায় ২৬ শতাংশ। ২০১০ সালে ছিল ২১ শতাংশ। প্রথম শ্রেণির পদে নারীদের জন্য আলাদা কোটা না থাকলেও ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগে নারীদের জন্য ১৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে।