বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের বাকি দুই আরোহীর খোঁজে চলছে অভিযান

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:২৭

উদ্ধারে অংশ নেয়া পোখারা পুলিশের কর্মকর্তা অজয় কেসি বলেন, ‘কুয়াশায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। রশি দিয়ে আমরা কর্মীদের পাঠিয়েছি।’

নেপালে ৭২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, বাকি দুজনের খোঁজে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

পোখারা এলাকার এই দুর্ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত ৭০ মরদেহ উদ্ধার হয়, এরপর বন্ধ রাখা হয় উদ্ধার কার্যক্রম। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয় তৎপরতা।

রয়টার্স বলছে, উদ্ধার অভিযানে ড্রোন ও রশি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া বৈরি হওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে। নিখোঁজ থাকা দুজনের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে।

উদ্ধারে অংশ নেয়া পোখারা পুলিশের কর্মকর্তা অজয় কেসি বলেন, ‘কুয়াশায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। রশি দিয়ে আমরা কর্মীদের পাঠিয়েছি।’

সোমবার দুই মরদেহ উদ্ধারের মাধ্যমে নিহতের সংখ্যা ৭০-এ পৌঁছেছে বলে জানান তিনি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখনও খোঁজ না পাওয়া দুজনের মধ্যে একটি শিশু আছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় মরদেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযান চলবে।’

এর আগেরদিন দুর্ঘটনাস্থল থেকে ওই উড়োজাহাজের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) ও ডেটা রেকর্ডার উদ্ধারের তথ্য জানায় কর্তৃপক্ষ।

কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কর্মকর্তা টেকনাথ সিতৌলা বলেন, দুটি রেকর্ডারই ভালো অবস্থায় ছিল এবং উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট ও ক্রুদের মধ্যে কথোপকথন শোনার জন্য এগুলো তদন্তকারীদের কাছে পাঠানো হবে।

গত রোববার সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৬৮ যাত্রী ও চার ক্রু নিয়ে পোখারা শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর ৭২ উড়োজাহাজটি এর ২০ মিনিটের মধ্যে পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পুরনো বিমানবন্দরের মাঝামাঝি এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপালের, ভারতের পাঁচজন, চারজন রাশিয়া এবং দুজন কোরিয়ার। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন ওই উড়োজাহাজে।

ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো পোখারার গান্ডকি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাসকি জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা।তিনি জানান, অধিকাংশ মরদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে, এগুলো চেনা যাচ্ছে না।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কৃষ্ণ প্রসাদ ভান্ডারি বলেন, ‘উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার জায়গা থেকে আমরা কাউকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারিনি।’

স্থানীয় সাংবাদমাধ্যগুলো বলছে, কী কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হলো তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিমান দুর্ঘটনা নেপালের জন্য অস্বাভাবিক নয়। প্রায়ই দূরবর্তী রানওয়ে এবং হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এ দেশে দুর্ঘটনা ও এতে প্রাণহানির খবর আসে।

নেপালে গত বছরের মে মাসে ২২ জন নিহত হয়েছিলেন একটি বিমান দুর্ঘটনায়। গত ৩০ বছরে এ দেশে প্রায় ৩০টির মতো বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছে।

২০১৮ সালের ১২ মার্চ দেশটির কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান। সেই দুর্ঘটনায় ৫১ জন যাত্রী এবং ক্রু নিহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর