অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ছিলো। তবে এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক আগামী ২৪ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অন্য আসামিরা হলেন ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। তাদের মধ্যে সোহেলিয়া ও মাহবুবুর রহমান পলাতক।
২০২০ সালের ১ জুলাই মিজানকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান বিচারক।
ওই মামলার তথ্যানুযায়ী সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের সময় দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন ডিআইজি মিজান। মামলাটি ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।
ঘুষ লেনদেনে দুদকের করা মামলায় ২৩ ফেব্রুয়ারি দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত ডিআইজি মিজানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
এর মধ্যে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
৪০ লাখ টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুদকের এই কর্মকর্তা।