জাতীয় সংসদের উপনেতা হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দনে সিক্ত হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা তাকে অভিনন্দন জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রশংসায় আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অগ্নিকন্যা খ্যাত মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করায় আমি অভিনন্দন জানাই। তিনি সব সময় রাজপথে থেকেছেন। এই সংসদেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আশা করছি। তিনি ছাত্র অবস্থায় আইয়ুবের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। সেই সময় তিনি ইডেন কলেজেন ভিপি ছিলেন। পরে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে মতিয়া চৌধুরী আমাদের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, গণমুখী রাজনীতিই করেছেন। ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের তিনি সভাপতি হয়েছিলেন।
৭৫-এ তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। কেন্দ্রীয় নেতা না হয়েও তখন দলে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তিনি নেত্রীর সঙ্গে তৃণমুল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। এরশাদের সামরিক শাসনের সময় তিনি রাজপথে মার খেয়েছিলেন। তখন মনে করা হয়েছিল, তিনি মারা গেছেন। সংসদের অধিবেশনে তিনি সব সময় প্রথমে আসেন, সবার শেষে যান।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, এমন একজন নেতাকে সংসদ উপনেতা করা হয়েছে যিনি সারা জীবন রাজনীতি করেছেন। এতে রাজনীতির বিজয় হয়েছে। তিনি সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি ১৯৬২ সাল থেকে রাজনীতি করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে তার মতো দৃঢ়তা সম্পন্ন রাজনীতিবিদ খুব কমই আছে।
কৃষিতে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে তার অবদান আছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মতিয়া চৌধুরীকে উপনেতা করায় তাদেরকেও অভিনন্দন। তিনি শেষ জীবন পর্যন্ত রাজনীতির জন্য একাগ্রভাবে কাজ করে যাবেন বলে আমরা আশা করি।