আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কচুপাতায় ভোরের শিশির নয় যে টোকা দিলে পড়ে যাবে। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়।
রোববার নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফাইভ স্টার মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী বছরের জানুয়ারিতে খেলা হবে ভোটচুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সেই খেলায় আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও দেশের উন্নয়নে নিয়োজিত হবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যে বিপদ-আপদে জনগণের পাশে থাকে না সে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হতে পারে না, শেখ হাসিনার কর্মী হতে পারে না। শেখ হাসিনা মানুষকে আঁধার থেকে আলোর পথে এনেছেন। আজকের সূর্যোদয় সেই কথাই বলছে। উত্তর জনপদের মঙ্গা এখন জাদুঘরে।’
শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। জাতীয় পার্টি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদর্শিক কারণে জাতীয় পার্টি এখন আমাদের সঙ্গে নেই।’
পণ্যমূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তাই বড় বড় কাজ আর নির্বাচনের আগে নেয়া হবে না।’
সভায় বিশেষ বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতারা হচ্ছেন অতিথি পাখির মতো। সারা বছর তাদের খবর নেই। উত্তরের মানুষ শীতে মারা যাচ্ছে, অথচ তারা একটি কম্বলও বিতরণ করেনি।
‘আমাদের দেশ স্বাবলম্বী হয়ে ৬০তম থেকে ৩৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।’
বিশেষ অতিথি রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াত দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখছেদুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হকসহ উত্তর জনপদের ৯টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার পর নীলফামারীর শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। রংপুর বিভাগের অন্যান্য জেলায় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ৩০ হাজার কম্বল বিতরণের অংশ হিসেবে সৈয়দপুরেও ৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়।