বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক সপ্তাহ পর সচল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচার বিভাগ

  •    
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:৫৮

আইনজীবীরা জেলার সব আদালতে গেলেও জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে যাননি। তারা ওই দুই বিচারকের আদালত প্রত্যাহার অব্যাহত রেখেছেন এবং ২৪ জানুয়ারির মধ্যে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বদলি ও নাজিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আলটিমেটাম দিয়েছেন।

আইনজীবি ও বিচারকদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের অবসানের পর সচল হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচার বিভাগ। দুই বিচারকের আদালত বাদে জেলার বাকি সব আদালতে রোববার থেকে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে ।

আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীদের মধ্যে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। টানা কয়েক দিনের অচলাবস্থার পর আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় খুশি বিচারপ্রার্থীরা।

আইনজীবীরা জেলার সব আদালতে গেলেও জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে যাননি। তারা ওই দুই বিচারকের আদালত প্রত্যাহার অব্যাহত রেখেছেন এবং ২৪ জানুয়ারির মধ্যে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বদলি ও নাজিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আলটিমেটাম দিয়েছেন।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছেন ফিরোজ মিয়া। তিনি একজন প্রবাসী। মামলা করার চিন্তা করে রেখেছিলেন আরও ৭ দিন আগে, কিন্তু আদালতের ঝামেলার জন্য তা করতে পারেননি তিনি।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, গত মঙ্গল ও শুক্রবার রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। তিনি দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে আইনজীবীদের আদালতে ফিরে যেতে বলেছেন। শনিবার সাধারণ সভা করে আইনজীবীদের আদালতে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। তবে জেলা জজ শারমিন নিগার ও মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে যাবেন না আইনজীবীরা। ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দুই বিচারককে বদলি ও নাজিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা বলেন, ২৪ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভা হবে। এর মধ্যে যদি জেলা জজ শারমিন নিগার, বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে বদলিসহ নাজিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে সব আদালতে আবার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হবে।

গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলা করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে আদালতে ছুটি শুরু হলে ঘটনাটি দীর্ঘদিন চাপা ছিল।

গত ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আইনজীবীরা ওই বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন। এর প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা তিন কার্যদিবসের কর্মবিরতির ডাক দেন। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ছয় কার্যদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর