বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শুরুটাও আলো ঝলমলে

  •    
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৫০

ডিএসইতে রোববার হাতবদল হয়েছে ৭১১ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার। ৪৩ কর্মদিবসের মধ্যে এই লেনদেন সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ১৪ নভেম্বর, ৭১৪ কোটি ২৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

আগের দুই কর্মদিবসে শেয়ারবাজারে ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের পর নতুন সপ্তাহের শুরুটা হলো আরও আলো ঝলমলে। রোববার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সূচক উত্থান ও দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।

এদিন ডিএসইতে হাতবদল হয়েছে ৭১১ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার। ৪৩ কর্মদিবসের মধ্যে এই লেনদেন সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ১৪ নভেম্বর, ৭১৪ কোটি ২৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

৩১ জুলাই দ্বিতীয় বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর উত্থান দেখা দিলেও গত নভেম্বরের অর্ধেক পার হওয়ার পর ফের মন্দা ভর করে।

সর্বশেষ হাজার কোটির ঘরে লেনদেন হয়েছিল ৯ নভেম্বর। এর পরের তিন কর্মদিবস ১০, ১৩ ও ১৪ নভেম্বর ৭০০ কোটির ঘরে লেনদেন হলেও ধীরে ধীরে লেনদেন নেমে আসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটির ঘরে।

নতুন বছরে বাজার ভালো হবে বলে আশার কথা শুনিয়েছিলেন বাজারের-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল। বছরের প্রথম তিন দিন আশার প্রতিফলন দেখা যায়নি।

এরপর ৪ জানুয়ারি বিএসইসি বাজার-সংশ্লিষ্টদের মোর্চা ও তাদের প্রতিনিধিদের ডেকে বৈঠক করে। সেখানে বলা হয়, বাজার ভালো করতে সবাইকে মাঠে নামতে হবে। স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস তোলা হবে না।

বৈঠকের পরের দুই দিন বাজারে তেমন প্রতিক্রিয়া না দেখা গেলেও পরবর্তী চারদিনই বেড়েছে লেনদেন ও সূচক।

গত সপ্তাহের রোববার ২৮৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার টাকা লেনদেন হওয়ার পরে সোমবার বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজারে। পর দিন আরও বেড়ে মঙ্গলবার হাতবদল হয় ৪৬২ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার টাকা।

এরপর গত বুধ ও বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় যথাক্রমে ৫৩২ কোটি ৪১ লাখ ৬২ হাজার ও ৫০৭ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। সেখান থেকে রোববার লেনদেন বাড়ল ২০৩ কোটি ৭২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

লেনদেনের সঙ্গে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৫০ পয়েন্টে। দেড় মাসেরও বেশি সময় পর এত বেশি সূচক বাড়ল।

এর চেয়ে বেশি ৪০ পয়েন্ট সূচক বেড়েছিল ২২ নভেম্বর। তবে সূচকের অবস্থান এর চেয়ে বেশি ছিল ২০ কর্মদিবস আগে ১৫ ডিসেম্বর, ৬ হাজার ২৫৬ পয়েন্ট।

আগের তিন কর্মদিবসে সূচক বাড়লেও দরপতনের তুলনায় দর বৃদ্ধির হার কম ছিল। তবে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধির প্রভাবে সূচক ইতিবাচক ছিল। সেই ধারা থেকে বেরিয়ে রোববার দর বৃদ্ধিই বেশি হয়েছে।

১১০টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৬১টির। তবে অপরিবর্তিত দরে লেনদেনের সংখ্যা বেড়েছে। ১৯০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দরে, যার দুই-একটি বাদে প্রায় সবই ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে।

লেনদেন না হওয়া কোম্পানির সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। ৩১টি কোম্পানির একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৫৮।

লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬১টি কোম্পানির মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ৭০টি কোম্পানিতে। এর আগে বৃহস্পতিবার হয়েছিল ৫৭টি ও বুধবার ৫১টিতে।

ওই ৭০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৬০৫ কোটি ৫১ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার। বাকি ২৯১টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে কেবল ১০৫ কোটি ৭৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা।

লেনদেন প্রসঙ্গে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ্ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে ক্যাশ ফ্লো-র দরকার ছিল সেটা একটু একটু করে আসতে শুরু করেছে। লেনদেনে তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহের গড় লেনদেন তার আগের সপ্তাহের দ্বিগুণ ছিল। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনেই ৭০০ কোটির ঘর স্পর্শ করল।’

অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) রোববার সূচকের উত্থানে লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর