গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাতের পর পরই ফের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-পুবাইল, টঙ্গী-বনমালা আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর সড়কে মুসল্লিদের ঢল নামে। এ সময় পরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাড়ি ফেরা মুসল্লিরা।
তবে খিত্তায় অবস্থান নেয়া মুসল্লিরা পর্যায়ক্রমে ময়দান ছাড়বেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আগামীকাল পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করবেন।
দুই-একটি পিকআপ ও মোটরসাইকেল ছাড়া তেমন কোনো বাস পাওয়া না যাওয়ায় মুসল্লিরা নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মুসল্লি মমিনুল হক বলেন, ‘কিছু পথ গাড়িতে, অটোরিকশায় ও কিছু পথ পায়ে হেঁটে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা মাঠে এসেছিলাম। কিন্তু ফেরার পথে হাঁটাই একমাত্র ভরসা।’
ভৈরবের মুসল্লি বাহার হোসেন বলেন, ‘অল্প কিছু বাস পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু ভাড়া কয়েকগুণ বেশি রাখা হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়ায়ও বাসে আসন পাওয়া যাচ্ছে না।
টঙ্গী রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতেও একই চিত্র। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ছাদে চড়েই রওনা হয়েছেন মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা।
এর আগে, রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গীর কামারপাড়াসহ আশপাশ এলাকায় মুসল্লিদের স্রোত নামে। ৯টা ৫৮ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১০টা ২০ মিনিটে শেষ হয়। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা জোবায়ের আহমদ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এ সময় দুহাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানায় লাখ লাখ মুসল্লি।