জাল নিয়োগপত্র দেখিয়ে ও ভুল তথ্য দিয়ে রিট করায় বরগুনার মোহাম্মদ রফরফ নামের ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে হাইকোর্ট।
আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে জরিমানার টাকা সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে আদেশে।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
শনিবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তিকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়। এ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন একই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রফরফ।
আবেদনে রফরফ নিজেকে ওই এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রার বলে দাবি করেন। ২০২০ সালের ৭ জুলাই আইন মন্ত্রণালয় থেকে তার নামে নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইব্রাহিমের নিয়োগ আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করে।
আদালতের রুল জারির পর বিবাদী মো. ইব্রাহিম আদালতকে জানান, রিটকারি রফরফের নিয়োগপত্র জাল বা ভুয়া।
হাইকোর্ট বিষয়টি যাচাইয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশের পর বিষয়টি যাচাই করে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রফরফের নিয়োগপত্রে সই করা আইন মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আনোয়ারুল হক ও আইন মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব মুরাদ জাহান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাতে জানা যায়, রফরফের নিয়োগপত্র ভুয়া এবং বানোয়াট। এই ধরনের কোন চিঠি ইস্যু করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিবেদন দেখে আদালত ফের রুল শুনানি নিয়ে রিটকারিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। পরবর্তী আদেশের জন্য ১৩ মার্চ দিন ঠিক করা হয়েছে।
আদালতে রিটকারি রফরফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, অপরপক্ষে ছিলেন মো. মিজানুর রহমান।