বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘একটি দেশের সত্যিকারের পরিচয় হলো সে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি। সেই সত্যিকারের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ইতিহাস থেকে আমাদের কোমলমতি বালক-বালিকাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার কাজ চালানো হচ্ছে। আমাদের উচিত জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা। সে জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রফেশনালস মুভমেন্ট অফ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজাতীয় আগ্রাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘সরকার দেশ শাসন করে না। তারা বসে বসে ইতিহাস লেখে। কিন্তু সেটা সত্যিকারের ইতিহাস নয়, কাল্পনিক। পাঠ্যবইয়ের প্রথম পৃষ্টায় যে ছবি রয়েছে সেটি বাংলাদেশের কোথাও কি দেখা যায়? যদি দেখা না যায় তবে এটি আমাদের কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কিভাবে গেল?’
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের পরিচয় শুধু উন্নয়ন দিয়ে হয় না। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি দিয়েও না। বাংলাদেশের একটি শিশু যখন স্কুল-কলেজে যাবে তখন তাকে মুক্তচিন্তার সুযোগ করে দিতে হবে। তার সামনে সব তথ্য তুলে ধরতে হবে। তাহলে সে যখন বড় হবে তখন নিজেই বুঝতে পারবে কোনটা করা ঠিক হবে আর কোনটা করা ঠিক হবে না। আমরা কেন এখন থেকে তাকে বলি যে সে কী করবে? সরকার এখন ছোট্ট শিশুদের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দেয়ার কাজ করছে।’
আলোচনা সভায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘যখন বইগুলো ছাপানো হয় তখন আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত ছিল। যারা স্বৈরাচারী, যারা ক্ষমতালিপ্সু, যারা মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তারা কিন্তু বার বার পৃথিবীর ইতিহাসে আত্মমোচন করেছেন। তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে, তারা চিরস্থায়ী হয়নি। এক সময় না এক সময় তাদেরকে বিতাড়িত হতে হয়েছে। সে কথাগুলো মনে রেখেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিবাদ করে যেতে হবে।’
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর আবদুল লতিফ মাসুম।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন তাজমেরী ইসলাম, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহসহ দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।