রাজধানীর দক্ষিণখানের বাসিন্দা মো. মোস্তফাকে গলাকেটে হত্যা করা হয় তার অটোরিকশাটি বাগিয়ে নেয়ার জন্য। একইভাবে গাজীপুরে গলাকেটে এক চালককে হত্যা করা হয়। অবশেষে এই ছিনতাই ও হত্যাকারী চক্রটির ৬ সদস্য ধরা পড়েছে।
দক্ষিণখানের ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিম।
তারা হলেন- খালেদ খান শুভ, টিপু, হাসানুল ইসলাম ওরফে হাসান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল মজিদ ও সুমন। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ফিচার ফোন, দুটি চাকু (সুইচ গিয়ার), অটোরিকশা ও পাথর উদ্ধার করা হয়।
১৩ ও ১৪ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগরসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে দক্ষিণখান থানা এলাকায় লোমহর্ষক ক্লুলেস হত্যায় জড়িত এবং অটোরিকশা ছিনতাই, হত্যা ও গুম চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘ভিকটিম মোস্তফা গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। পরবর্তীতে কোথাও তার সন্ধান না পাওয়ায় তার মা শামছুন্নাহার দক্ষিণখান থানায় নিখোঁজের জিডি করেন।
ভিকটিমের মা জানতে পারেন ১৭ ডিসেম্বর দক্ষিণখান থানাধীন আসিয়ান সিটির ২৩ নম্বর রোডের পশ্চিম পাশে আসিয়ান সিটির ফাঁকা প্লটে একটি অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে আছে। ভিকটিমের মা ও বাবা সেখানে গিয়ে মরদেহটি তার ছেলে মোস্তফার বলে শনাক্ত করেন। এরপর শামছুন্নাহার বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় হত্যা মামলা করেন।
ডিবি প্রধান বলেন, তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিম তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উল্লেখ করে ডিবি প্রধান জানান, চক্রটি বিভিন্ন জায়গায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে আসছিল। ২৫ ডিসেম্বর তাদের দুই সদস্য একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককে গাজীপুরের কালিগঞ্জ থানার পূর্বাচলে ২৫ নম্বর সেক্টরের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ডিবি জানায়, এই ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। ঢাকা মহানগরীয় থানা ও ঢাকার আশপাশের জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, গুম ও ছিনতাই ঘটনায় আরও মামলা রয়েছে। আসামিরা এসব ঘটনায় জড়িত কি না ডিবি পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।