ইজতেমার প্রথম পর্ব আজ রোববার আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। সকালে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন তাবলিগ জামাতের কাকরাইলের শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে গাজীপুরের কয়েকটি রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
ইজতেমার এই পর্বে অংশ নিয়েছেন তাবলিগ জামাতে জুবায়েরপন্থী হিসেবে পরিচিতরা। এরপর ২০ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। ওই পর্বে অংশ নেবেন সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা।
শুক্রবার বাদ ফজর ইজতেমা শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর দীর্ঘ সময় নিয়ে বয়ান করা হয়। জোহর ও আসরের সময় বয়ান হয় ছোট পরিসরে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশেষ শ্রেণি-পেশার মানুষ যেমন ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবী আলেমদের নিয়ে আলাদা বয়ান হয়। এ সময় ইজতেমার মাঠে অন্যরা তালিমের কাজে ব্যস্ত থাকেন।
ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, আখেরি মোনাজাত সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে শুরু হবে।শনিবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন বাদ ফজর ঈমান ও আমলের বয়ান দিয়ে শুরু হয়। বয়ানের ফাঁকে মুসল্লিরা জিকির-ইবাদতে ব্যস্ত সময় পার করেন। ফজরের নামাজের পর মাওলানা খুরশিদ আলমের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় দিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল চট দিয়ে নির্মিত প্যান্ডেলের নিচে খিত্তায় অবস্থান করছেন মুসল্লিরা। যারা খিত্তায় প্যান্ডেলের নিচে জায়গা পাননি তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও কামারপাড়া সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে কিংবা খোলা জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। ইজতেমা ময়দান এলাকায় বহুতল ভবনের ছাদে পাটি-চট দিয়ে বিছানা পেতে বয়ান শুনছেন অনেকে।
আখেরি মোনাজাতে বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে গাজীপুরের কয়েকটি রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম শনিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আবদুল্লাহপুর হয়ে ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে। একই কারণে কামারপাড়া থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত সড়কের দুই দিক এবং টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে মিরেরবাজার পর্যন্ত সড়কেও যান চলাচল বন্ধ থাকবে।’
রোববার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। চার দিন বিরতির পর আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে।
আগামী ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হবে।
এবার ইজতেমার মাঠকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়। বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নেন।
১৬০ একর খোলা ময়দানে বাঁশের খুঁটির ওপর পাটের চট দিয়ে টানানো হয় বিশাল প্যান্ডেল। বিদেশি মেহমানদের জন্য আলাদা আবাসস্থল রাখা হয়।
ইজতেমা ময়দানে রোববার পর্যন্ত ৬৫ দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বিদেশি মুসল্লি উপস্থিত হন।