‘আন্দোলনের সারথি বিএনপিকে বলতে চাই, আপনাদের আন্দোলনের রণকৌশল সঠিক পথে নেই। বিরোধী দলের সঙ্গে বসে রণকৌশল ঠিক করতে হবে। আপনাদের ম্যান পাওয়ার আছে, মানি পাওয়ার আছে। কিন্তু আপনাদের সমন্বয় হচ্ছে না।’
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর শুক্রবার এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন।
ফোনে আড়িপাতার যন্ত্রপাতি ক্রয় ও গোয়েন্দা নজরদারির নামে নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হরণের প্রতিবাদ, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত রাজবন্দিদের মুক্তি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ।
নুর বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত, চরমোনাই, খেলাপথ, বাম, ডান- যারাই আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আছে তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমাদের ফেলোফিলিং রয়েছে। সবাইকে নিয়ে আমরা রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই।
‘বিএনপিকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ছোট ছোট দলগুলোর সাপোর্ট নেই। সাপোর্ট দিয়ে কিভাবে তাদের আরও চাঙ্গা করা যায় সেই চেষ্টা বিএনপিকে করতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের এই সদস্য সচিব বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমছে। আর আমাদের দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। সরকার ইভিএম-এর টাকা জোগাড় করতে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। বিআরটিসির ৫১টি পণ্য-সেবার দাম বাড়াচ্ছে। আরও বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়াবে সরকার।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘নানা অপকৌশলে আওয়ামী লীগ সরকার ভোটারবিহীন ও মধ্যরাতের নির্বাচনের পরও বিদেশিদের সমর্থন আদায় করেছিল। বর্তমানে সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো আওয়ামী লীগের বর্বর কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এই অবৈধ শাসনকে তারা আর সমর্থন দেবে না। সরকারের গদিতে কাঁপন ধরেছে। তাই আওয়ামী লীগ নানা ষড়যন্ত্র ও নীল নকশা নিয়ে ব্যস্ত।
‘নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ফোনালাপ ফাঁস হয়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা বিরোধী দলকে দমন করছে। জনগণের টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগ সারাদেশে সাইবার বাহিনী দিয়ে গুজব প্রচার করছে। ভোট চুরি মসৃণ করতে ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বিশ্ব গণমাধ্যমে ইসরায়েলের আড়ি পাতা যন্ত্র কেনার খবর প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের নীলনকশা উন্মোচিত হয়েছে।’
নাগরিকের ফোনে আড়িপাতা সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন নুর। বলেন, ‘সরকার হুমকি দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করতে চায়, আন্দোলন দমন করতে চায়। আওয়ামী লীগের সাইবার সেল থেকে বানানো ছবি-ভিডিও প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে। সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে গনবিরোধী সংবিধানে পরিণত করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে জনগণের শাসন নিশ্চিত করা হবে।’