ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকের অপসারণ দাবিতে আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন আইনজীবীরা, তবে ওই দুই বিচারকের আদালতে যাবেন না তারা।
রাজধানীতে বৃহস্পতিবার রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর আইনজীবীরা কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে শনিবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তারা জানান, আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রোববার থেকে আইনজীবীরা আদালতে যাবেন, তবে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বদলির আগ পর্যন্ত তাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে।
দুই আইনজীবী নেতা জানান, শনিবার আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা করে আন্দোলন প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।
আইনজীবীদের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা। রাত ১১টা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নিজেদের দাবির কথা ফের তুলে ধরেন আইনজীবীরা।
গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলা করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে আদালতে ছুটি শুরু হলে ঘটনাটি দীর্ঘদিন চাপা ছিল।
গত ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আইনজীবীরা ওই বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন।
বিচারক ফারুকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা।
উচ্চ আদালত দুই দফায় ২৪ আইনজীবীকে তলব করেন।