বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৃহত্তম জুমা আদায়ে তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির ঢল

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:৩০

ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয় মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি এক জামায়াতে শরিক হয়ে নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এ নামাজে শরিক হবেন।

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত উপক্ষো করে লাখ লাখ মুসল্লির পদচারণায় পরিপূর্ণ তুরাগ তীর।

দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে শুক্রবার দলে দলে আসছেন লাখো মুসল্লি। দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইলের মুরুব্বী মাওলানা জোবায়ের এ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন।

ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয় মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি এক জামাআতে শরিক হয়ে নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এ নামাজে শরিক হবেন।

ইতোমধ্যে অনেকে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাসায় অবস্থান নিচ্ছেন। জুমার নামাজে কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের ইমামতি করবেন।

বৃহত্তম জুমার এ নামাজে অংশ নিতে ইজতেমায় তাবলীগের মুসল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও আশেপাশের জেলা থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিতে থাকেন লাখো মুসল্লি।

এ ছাড়াও শুক্রবার মুসল্লিরা ভোর থেকেই টঙ্গীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরিবহন সংকটে অনেকেই জুমার নামাজে অংশ নিতে হেঁটে রওনা দিয়ে আসছেন তুরাগ তীরে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১৬০ একরের পুরো ইজতেমা ময়দান ছাঁপিয়ে কামারপাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশেপাশের অলি-গলিতেও কাতারবদ্ধ হয়ে জুমার নামাজে অংশ নেবেন মুসল্লিরা।

বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম প্রতিবছরই ইজতেমায় আসেন, কিন্তু এবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইজতেমায় আসতে না পারলেও ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বৃহত্তম জামাআতে অংশ নিতে এসেছেন।

ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন দুলাল মিয়া। তিনি জানান, তার এলাকা থেকে ইজতেমায় একটি জামায়াত এসেছেন। সেখানে মুসল্লিরা খিত্তায় অবস্থান করছেন। তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাত ও এক সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করতে ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন।

শ্রীপুর এলাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কারখানার আরও দুই কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার ফজর নামাজ শেষে ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে ভোরেই চলে এসেছি।’

পরপর দুই বছর ইজতেমা না হওয়ায় এবারের ইজতেমায় সাধারণ মুসল্লিদের উৎসাহ-উদ্দীপনা বেশি। অনেকেই মূল শামিয়ানার নিচে স্থান না পেয়ে সড়কের পাশে ফুটপাতে পলিথিন টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।

বিদেশি তাবলীগ অনুসারী মুসল্লিদের জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত আলাদা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ময়দান এলাকায় থাকছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম।

আরব, ইউরোপসহ কয়েকটি দেশের মুসল্লিরাও ইতোমধ্যে ইজতেমা মাঠের বিদেশি মেহমানদের প্যান্ডেলে অবস্থান নিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর