বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই দিহানকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:১০

চিকিৎসক বলেছিলেন, মেয়েটির শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিকৃত যৌনাচারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তার বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সরওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কাজী ফেরদাউসুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।

আদেশের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি জানান, বিচারিক আদালতে দিহানের জামিন আবেদন বাতির হয়েছে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছিল।

তিনি জানান, সেই আপিল নিষ্পত্তি করে তার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে বলেছে।

মামলা থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের নভেম্বরে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে দিহানের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হতো। পরিচয়ের এক মাসের মাথায় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দিহান মেসেঞ্জারে কিশোরীকে পরদিন তাদের বাসায় যেতে প্ররোচিত করেন।

২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি ওই কিশোরোীকে বাসায় নিয়ে যান দিহান। এক পর্যায়ে বাসা থেকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। তবে তার আগেই কিশোরীর মৃত্যু হয়।

পরদিন দিহানকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন মেয়েটির বাবা। পুলিশ তখন দিহানকে গ্রেপ্তার করে।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেছিলেন, মেয়েটির শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিকৃত যৌনাচারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

এই মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পরে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত।

এ বিভাগের আরো খবর