বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৬ জানুয়ারি সারা দেশে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৪:৩০

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার বেলা ১১টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা ২টার দিকে বক্তব্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগতসহ ১০ দফা দাবিতে ১৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ও সারা দেশে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ এবং মিছিলের ঘোষণা দিয়ে গণ-অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেছে বিএনপি।

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার বেলা ১১টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা ২টার দিকে বক্তব্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি জানান, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগতসহ ১০ দফা দাবিতে ১৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ও সারা দেশে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ এবং মিছিল হবে।

এর আগে ১১টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ৩৩ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পাওয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মঞ্জু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

গণ-অবস্থান অংশ নিতে সকাল থেকে জড়ো হন বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কের একটি অংশে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করে সেখানে চেয়ার বসানো হয়।

গণ-অবস্থানে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের বসার জন্য সড়কে কার্পেট বিছানো হয়। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সময়ে ১১টি দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন এই জোটের নাম ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ পুরানা পল্টন প্রিতম টাওয়ারের সম্মুখে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

অন্য ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জোটের নেতারা। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হয় গণফোরাম (একাংশ)। মতিঝিল নটরডেম কলেজের উল্টো দিকের রাস্তায় গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করে দলটি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সমমনা গণতান্ত্রিক জোট।

বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সর্তক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নয়াপল্টন ও কাকরাইল মোড়ে রাখা ছিল পুলিশের প্রিজনভ্যান ও জলকামান। এছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন মোড়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বিএনপির কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগও রাজধানী বিভিন্ন এলাকা অবস্থান নিয়ে শোডাউন ও মিছিল করারও ঘোষণা দেয়।

আগেরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্বঘোষিত গণ-অবস্থান কর্মসূচির অনুমতির জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

বর্তমান সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এড়াতে গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেয়নি বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর