ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাদিয়া আক্তার নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
ধামরাইয়ের ইসলামপুর কুমরাইল এলাকার একটি বাসায় শনিবার ভোরের দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধ হন মনজুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী জোসনা আক্তার, তাদের শিশু সন্তান মরিয়ম আক্তার, সাদিয়া আক্তার ও হোসনে আরা।
তাদের মধ্যে শিশু মরিয়ম আক্তার বার্ন ইনস্টিটিউটে শনিবার রাত আড়াইটার দিকে মারা যায়। এরপর মঙ্গলবার ভোরে মারা যান ১৯ বছরের তরুণী হোসনে আরা। এর ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে আরেক তরুণী সাদিয়া আক্তার মারা যান।
দগ্ধদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা আবু সুফিয়ান বলেন, মনজুরুল ইসলাম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার সকালের দিকে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার রান্না করতে গেলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে মনজুরুলের শ্যালিকা, ভাতিজি ও দুই বছরের শিশুকন্যা রয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, ‘শিশুসহ দগ্ধ ৫ জনকে এখানে আনা হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাদিয়া আক্তার নামে এক তরুণী মারা যান। তার শরীরে ৭৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
‘চিকিৎসাধীন মনজুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ ও হোসনে আরার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’