যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। তার দাবি, ১৪টি নয়, যুক্তরাষ্ট্রে শুধু একটি বাড়ি তার স্ত্রীর নামে কেনা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তাকসিম এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘গত সোমবার একটি দৈনিকে আমার নামে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এটা ডাহা মিথ্যা। এর কোনো সত্যতা নেই। ১৪টি নয়, শুধু একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে কেনা। বাকি কোনোটিই আমার বা পরিবারের কারও নয়।’
ওয়াসার এমডি আরও বলেন, ‘প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে ৫টি বাড়িতে আমার পরিবার বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছে। আর একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’
স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে ‘ওয়েল স্টাবলিশড’ জানিয়ে তাকসিম এ খান বলেন, ‘সেখানে একটি বাড়ি কেনায় খুব অসুবিধার কিছু নেই। আমার স্ত্রীর নামেই ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাকেও বাড়ি বলা যাবে না, এটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট।’
‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে সোমবার দৈনিকটিতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে ১৪টি বাড়ি কিনেছেন ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম। বাড়িগুলোর দাম হাজার কোটি টাকার বেশি, যেগুলো তিনি বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কিনেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ঢাকা ওয়াসার শীর্ষ এ কর্মকর্তার বাড়ি কেনার টাকার উৎস ও লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।’
সংবাদটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমেরিকায় তাকসিমের বাড়ি কেনা এবং অর্থ পাচারকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থায় তার নাম থাকা নিয়ে দুটি অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে।’
প্রকাশিত এই সংবাদ আদালতের নজরে আনা হলে সোমবার হাইকোর্ট অভিযোগের জোর তদন্তের নির্দেশ দেন।