বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাতে ঢাকায় এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:৫৭

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় অর্থ সহায়তার বেশ কিছু চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু সব চুক্তি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। সেই বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন আব্দুল মোমেন।

ঢাকায় এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করে আফ্রিকা সফরে গেলেন চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাং। এ সময় তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এই অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর এটিই ছিন গ্যাংয়ের প্রথম বিদেশ সফর। এবারের সফরে তিনি আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করবেন।

সোমবার রাত ১টা ৫৮ মিনিটে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজ শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রাত ২টা ৫০ মিনিটে আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে ছিন গ্যাংকে জানানো হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত

চীনের বাজারে ৯৮ ভাগ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও গেজেট না হওয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন আব্দুল মোমেন। পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে চীনের সহযোগিতার বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা এক চীননীতিতে বিশ্বাস করি। এটা আমাদের মূলনীতি। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হয়। সুতরাং আমরা আপনাদের (চীনকে) টাইম টু টাইম সাপোর্ট দেব।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় অর্থ সহায়তার বেশ কিছু চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু সব চুক্তি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। সেই বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন আব্দুল মোমেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ছিন গ্যাং। জবাবে আব্দুল মোমেন তাকে আরও বেশি সময়ের জন্য বাংলাদেশ সফরের প্রস্তাব দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উয়ি ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আফ্রিকা যাওয়ার পথে ঢাকায় কয়েক ঘণ্টার যাত্রা বিরতি করেছিলেন। সেইবার শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক।

২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সফরের পর ঢাকায় যাত্রা বিরতি করেছিলেন চীনের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই সময় চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি তখনকার পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর