৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, সংগৃহীত রক্ত বিতরণ ও হেলথ ক্যাম্প কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচি চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ: মানবতায় অগ্রদূত’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-কন্যার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে দেরিতে হলেও আমরা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলাতে পেরেছি। বিভিন্ন দেশে থাকা বাকি খুনিদেরও আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারকে আমরা বার বার বলছি, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা হোক।
‘কিন্তু আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছি না। অ্যামেরিকা-কানাডার মতো দেশগুলো আজ বলছে, তাদের আইন অনুযায়ী নাকি সেসব খুনিকে দেশে পাঠাতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের এই মানবতা কোথায় ছিল?’
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যে গণমুখী স্বাস্থ্যসেবার চিন্তা-চেতনা ছিল, তা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে এখন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করতে আসেন। এটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান।
৬ জানুয়ারি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভেঙে পড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে সাদ্দাম হোসেন বলেন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রার আগে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি।
‘অনেকেই সেদিন আহত হয়েছেন। তারপরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সেদিন অত্যন্ত শৃঙ্খলার পরিচয় দিয়েছেন। ছাত্রলীগ যে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিজয়ী হতে পারে সেটি ছিলো তার প্রমাণ।’
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন ও শহীদ বুদ্ধিজীবী-কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী।