রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে গত রোববার বাবা-ছেলে নিহত হওয়ার ঘটনাটি গ্রেনেড বিস্ফোরণেই ঘটেছে।
সোমবার কাপ্তাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
এদিকে গ্রেনেড থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি স্বীকার না করলেও ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডের যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৪৫ বছর বয়সী ইসমাইল মিয়া ও ৭ বছর বয়সী তার ছেলে মো. রিফাত নিহত হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ইসমাইলের স্ত্রী সখিনা বেগমকে। তারা কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর ইউনিয়নে নতুন বাজার এলাকার বাদশা মিয়ার টিলার বাসিন্দা। রোববার সন্ধ্যায় সেখানেই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটির কিভাবে ঘটেছে তা নিয়ে সেনাবাহিনী তদন্ত করছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডের যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণটি কারা ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।’
এদিকে কাপ্তাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমি শুনেছি, জঙ্গলে কাজ করতেন ইসমাইল মিয়া। সেখান থেকে খেলনার বল মনে করে গ্রেনেডটি বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। এক পর্যায়ে তার ছেলে এটি নিয়ে খেলতে গেলে গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাবা-ছেলে নিহত হন এবং ইসমাইলের স্ত্রী গুরুতর আহত হন।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর স্থানীয়রা ঘটনাস্থল গিয়ে দেখেন- বাবা-ছেলেসহ তিনজন মাটিতে পড়ে আছেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইসমাইল ও রিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
প্রতিবেশী মো. শহীদুল বলেন, ‘মসজিদে নামাজ পড়ার সময় বিকট একটি শব্দ শুনতে পাই। এসে দেখি ঘরের ভেতরে ইসমাইলের স্ত্রী কাঁদছে। বন্ধ থাকায় আমরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি, ইসমাইল ও তার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে আমরা তাদের তিনজনকেই হাসপাতালে পাঠাই।’ বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানটি ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল হাজির হয়। নিহত ইসমাইল মিয়া পেশায় মাঝি ছিলেন।