মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা ও পয়োনিষ্কাশনের জন্য আরসিসি পাইপের মাধ্যমে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। তবে ড্রেন নির্মাণের আরসিসি পাইপ রাস্তায় রাখায় চালক-পথচারীর ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের প্রবেশপথ শহীদ রফিক সড়কের খালপাড়ের রফিক চত্বর থেকে আইনজীবী ভবনের সামনের রাস্তার দুই পাশে আরসিসি পাইপ রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসকের বাসবভনের পাশ থেকে বান্দুটিয়া মডেল স্কুল পর্যন্ত রাস্তার পাশেও পাইপ রাখা হয়েছে। এতে ওই রাস্তায় যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং রাস্তা নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছে।
অটোবাইকচালক সোহেল মিয়া বলেন, ‘পাইপের কারণে রাস্তায় যানজট হয়। যাত্রী সময়মতো যাইতে পারে না। এ কারণে অনেক সময় ভাড়া না দিয়েই চলে যায়। ১০ মিনিটের জায়গায় আধাঘণ্টা যানজটে থাকতে হয়। যাত্রীরা আমাদের সঙ্গে রাগারাগি করে।’
পথচারী আবুল কালাম বলেন, ‘রাস্তার পাশে পাকা পাইপ রাখার কারণে যানজট হয়। এর আগে যানজটের কারণে প্রায় আধাঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজকেও ১০ মিনিট যানজটে আটকা ছিলাম। আগে কত ভালো ছিল, কোনো যানজট ছিল না।’
কলেজ শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, ‘যেখানে গাড়ি থামে, তার পাশে পাইপ রাখছে। শহরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ঢুকে আরও যানজটের সৃষ্টি হয়। এ কারণে ঠিকমতো কলেজে পৌঁছাতে পারি না। অনেক সময় থানার সামনে দিয়ে ঘুরে যেতে হয়।’
মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী দীপক কুমার ঘোষ বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব না করে আইন মেনে কাজ করতে হবে। কারণ এমনিতেই মানিকগঞ্জ শহরের সড়কটি সরু। তার মধ্যে রাস্তার পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হলে মানুষের যাতায়াত এবং চলাফেরায় বাধা হবে। সুতরাং জনগণের কথা বিবেচনা করে দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে।’
মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জগৎবন্ধু মণ্ডল বলেন, ‘নির্মাণ কাজের জন্য রাখা পাইপগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ওখান দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের মানুষ যাতায়াত করে। যেকোনো সময় গড়িয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে পাইপগুলো অন্য জায়গায় সরিয়ে রাখতে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।’
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বেল্লাল হোসেনের দাবি, কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদার রাস্তায় পাইপ রাখছেন। এতে করে মানুষের হয়তো কষ্ট হচ্ছে। তবে কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বারবার বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ্যাপেক্স এর সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।