রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকায় একটি কারখানা থেকে নিরাপত্তাকর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬০ বছর বয়সী হাশেম মিয়া নামের ওই কর্মীর দেহ বিছানায় পাওয়া গেছে।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা নিরাপত্তাকর্মীর রক্তাক্ত দেহ বিছানার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। কারখানার আলমারি খোলা এবং যন্ত্রপাতি এলোমেলোভাবে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।
সোমবার ভোর বা রোববার গভীর রাতে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কারখানার শ্রমিক ঝন্টু মিয়াসহ সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতকে নিয়ে আসা কারখানা শ্রমিক ঝন্টু মিয়া বলেন, ‘রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন হেপি হোমসের বামের গলিতে জুয়েল ইন্ডাস্ট্রিজে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে হাসেম মিয়া থাকতেন।
‘আজ সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে ফ্যাক্টরিতে আসি। এরপর দোতলায় গিয়ে দেখি আমাদের নিরাপত্তাকর্মী হাসেম মিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় তার বিছানায় পড়ে আছেন। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। কারখানার আলমারি খোলা এবং যন্ত্রপাতি এলোমেলোভাবে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিল। পরে আমরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু নিরাপত্তাকর্মীর নাম জানি। তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা বিস্তারিত আমাদের জানা নাই। আমরা এক-এক শ্রমিক পাঁচ-সাত বছর ধরে কাজ করে আসছি, অথচ মালিক এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেননি।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।’