নারায়গঞ্জে মেধাবীছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন সময় পুরস্কৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাবা রফিউর রাব্বি। ত্বকী হত্যার ১১৮ মাস হয়ে গেলেও বিচার না হওয়াকে তিনি ‘বিচারহীনতার নজির’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১০ বছর হতে চলল, অথচ ত্বকী হত্যার অভিযোগপত্র আদালতে পেশ হয়নি। ত্বকী হত্যা বিচারহীনতার নজির। এ হত্যকাণ্ডসহ বহু অপকর্মের জন্মদাতাদের উল্টো বিভিন্ন সময় সরকার পুরস্কৃত করেছে।’
ত্বকী হত্যার ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোকপ্রজ্জ্বালন কর্মসূচি শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনটির সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাড. এবি সিদ্দিক, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ, ত্বকী মঞ্চের যুগ্ম-আহবায়ক দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক অ্যাড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদের জেলা আহ্বায়ক নিখিল দাস, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুর সুজন, সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহিন মাহমুদ, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম, সদস্য পিন্টু সাহা।
রফিউর রাব্বি আরও বলেন, ‘জবানবন্দি দেয়া ত্বকীর ঘাতকরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়ালেও পুলিশ তা দেখে না। অস্ত্রবাজ অপরাধীদের নিয়ে এখানে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।’সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব, কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ বলেন, ‘ত্বকীর ঘাতক পরিবারকে পুরস্কৃত করছে। ত্বকী হত্যার বিচারের সঙ্গে সুশাসনের সম্পর্ক জড়িত। আমরা ত্বকীসহ সব হত্যার বিচার চাই।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। এর দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা করেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। পরে ২০১৪ সালের ৫ মার্চ তদন্ত সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিল, ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচীরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজো আদালতে পেশ হয়নি।