পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিস্ফোরণে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন ইসমাইল মিয়া ও তার ৭ বছর বয়সী ছেলে মো. রিফাত।
রোববার সন্ধ্যার দিকে কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়নের বাদশা মাঝির টিলা এলাকায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ইসমাইল মিয়ার স্ত্রী সখিনা বেগমকে। তারা সবাই নতুন বাজারের বাদশা মিয়ার টিলার বাসিন্দা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বাবা ও ছেলে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। তবে বিস্ফোরণের সূত্রপাত কোথা থেকে কীভাবে হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। ঘটনাটি শোনামাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেনাবাহিনীর টিম আসছে। তারা তদন্ত করলে ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যাবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই ইউনিয়নের হ্রদসংলগ্ন এলাকার বাদশা মাঝির টিলা নামক স্থানে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান বাবা ও ছেলেসহ তিনজন আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধার করে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ইসমাইল মিয়া ও রিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইসমাইল মিয়া পেশায় একজন নৌকার মাঝি।
বিস্ফোরণ ও হতাহত হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। বিস্ফোরণের কারণ জানতে সেনাবাহিনীর একটি বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, সন্ধ্যার দিকে কাপ্তাইয়ে বাদশা মাঝির টিলা এলাকায় বিস্ফোরণে বাবা ও ছেলে মারা গেছেন। এতে গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণটি কোথায়, কীভাবে হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ওমর ফারুক রনি বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগেই বাবা ও ছেলে মারা গেছেন। এ ছাড়া আগুনে দগ্ধ এক নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’