বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনআইডি হস্তান্তর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে কমিশন বৈঠকে

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:৪৮

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর বিষয়ে প্রযুক্তিবিদদের মতামত নেয়া হয়েছে। ওনারা চারজন স্পষ্টভাবেই বলেছেন, টেকনিক্যালি কোনো সমস্যা হবে না। কারণ সার্ভার ইসির কাছেই থাকছে। এখন কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে হস্তান্তর বিষয়ে প্রযুক্তিবিদদের মতামত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি এখন কমিশন বৈঠকে তাদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শগুলো পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা ওনাদের (প্রযুক্তিবিদ) কথা শুনেছি। কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মতামত দেয়া হয়নি। এখন কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এর আগে সকালে প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে আউয়াল কমিশন৷ সভায় শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, অধ্যাপক হায়দার আলী, ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘সিইসি বলেছেন, আমরা যেটাই করি না কেন যুক্তিযুক্ত হবে। পক্ষপাতমূলক কিছু করব না। সরকারের চাওয়া যৌক্তিক হলে এনআইডি স্বরাষ্ট্রের অধীনে চলে যাবে। আর না হলে আমাদের যুক্তি তুলে ধরব।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এনআইডি তারা করবে। আর ইসির কর্মকর্তারা বলছেন যে এটা তারা করে আসছেন এবং এটা এখানে থাকাই ভালো। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

‘ইসির কর্মকর্তারা আমাদের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। তাতে তারা যুক্তি তুলে ধরেন, ইভিএমে ভোট হলে এবং মন্ত্রণালয়ে এনআইডি চলে গেলে ভোট নিতে সমস্যা হতে পারে। যেহেতু বিষয়টি টেকনিক্যাল, তাই আইটি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ও মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘ওনারা চারজন স্পষ্টভাবেই বলেছেন, টেকনিক্যালি কোনো সমস্যা হবে না। কারণ সার্ভার তো ইসির কাছেই থাকছে।

‘প্রযুক্তিবিদদের মিশ্র বক্তব্যও এসেছে। একজন বলেছেন, এটা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আপনারা কেন বাড়তি দায়িত্ব নিতে যাবেন। ইসির কাজ হলো ভোটার তালিকা করা, সুষ্ঠু নির্বাচন করা। কাজেই এটা ইসিতে না থাকাই ভালো।’

তিনি বলেন, ‘কেউ বলেছেন, যেহেতু এটা সরকারেরই কাজ; তাই সরকার চাইলে নিতে পারে। তবে যেহেতু ইসি এটা করে আসছে দক্ষতার সঙ্গে, সে ক্ষেত্রে কমিশনের কাছেই যদি দক্ষতার সঙ্গে রাখা যায়, ভালো। এখন অন্য কেউ কাজ করবে, সময় লাগবে, এতে মানুষ যে সার্ভিস পাচ্ছে এটা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই সরকারকে যদি কনভিন্স করা যায়- আপনারা চাইলে নিতে পারেন; তবে এটা এখানে থাকলে ভালো হয়।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ নিয়ে প্রযুক্তিবিদদের মতামতের প্রসঙ্গ টেনে এই কমিশনার বলেন, ‘ওনারা বলেছেন, ইভিএমে যেখানে ভোট হবে সেখানে শুধু এনআইডি ইনসার্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নামটা চেঞ্জ করে ভোটার কার্ড করে দেবেন। যেহেতু অনেক মানুষ সার্ভিস নেয়ার জন্য এনআইডি নেয়, এতে ভোটার হওয়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে। তবে ভোট সুষ্ঠু হলে ভোটার হওয়ার আগ্রহ কমে যাবে না।’

ইসি রাশেদা সুলতানা যা বললেন

প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানাও পৃথকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সংকট নেই। তবে এটা নিয়ে যেন টানা-হেঁচড়া না হয়, যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, সে জন্য আমরা প্রযুক্তিবিদদের মতামত নিয়েছি। পরবর্তীতে কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে কেউ কেউ ইসির অধীনেই এনআইডি থাকার পক্ষে। কেউ কেউ আবার থাকার পক্ষে নন। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানার জন্য বসেছিলাম। এখন আমরা নিজেরা বসব। বসে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।

‘আমরা যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, সে জন্য এই মতবিনিময়। সিদ্ধান্তটা যেন গ্রহণযোগ্যতা পায়, সে জন্যই ওনাদের সঙ্গে বসা। আমরা আলোচনা করি, তারপর কতটা খারাপ বা ভালো হবে তা বলতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর