বগুড়ার শেরপুরে জমি নিয়ে নৃগোষ্ঠী ও গ্রামবাসী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে বর্তমানে ১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রোববার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ভবানীপুরের আম্বইল, গোড়তা, বালেন্দা ও ভাদড়া গ্রামের বাসিন্দা ও নৃ-গোষ্ঠী জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় আহতদের কয়েকজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত গ্রামবাসীদের মধ্যে রয়েছেন জসিম উদ্দিন সরকার, হায়দার আলী, মিলন সরকার, ফারুক হোসেন, আছাবুদ্দৌলা। তারা সবাই শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
আর নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আহতরা হলেন, তিখনা, রিপন, শুখী রানী, কাদু সিং, মিনা রানী, পোলান, প্রদীব।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। পরে আজ সকালে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ‘রোববার আম্বইল গ্রামে স্থানীয় সোলাইমান হোসেনের চার বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগাতে আসেন গ্রামবাসীরা। এ সময় নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় থানা থেকে আরও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আর উভয়পক্ষের ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদিবাসী পরিষদের বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি সন্তোষ সিং বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার ইউএনও অফিসে মিটিং ছিল। কিন্তু তারা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ধান চাষ করতে চান। পরে বাধা দিতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
তবে স্থানীয় সুজন সরকার বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর ধরে বাপ-দাদার জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। হঠাৎ তারা আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করেছে।’
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, ‘ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামে একটি জমি নিয়ে স্থানীয় নৃগোষ্ঠী ও গ্রামবাসীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই সমস্যার সমাধানে মঙ্গলবার দু’পক্ষকে নিয়ে বসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সংঘর্ষ ঘটে।’