বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘এনআইডি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নিয়ে ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে’

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৬:০০

মোহাম্মাদ কায়কোবাদ বলেন, ‘ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই যাক না কেন, তাদের তো এই অভিজ্ঞতা নাই। কাজেই এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়া উচিত।’

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি ও সরবরাহের কাজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষক প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মাদ কায়কোবাদ।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনারদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ পরামর্শ দেন।

মোহাম্মাদ কায়কোবাদ বলেন, ‘ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই যাক না কেন, তাদের তো এই অভিজ্ঞতা নাই। কাজেই এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রে আমরা ব্যয় সাশ্রয় করি। কমিশনের এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক সময় একটি কাজ যখন সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে তখন সেটা আমরা অন্য জায়গায় নিয়ে যাই, নানা ধরনের সমস্যায় ভুগি। কো-অর্ডিনেশনে আমরা মোটেই ভালো না। যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজটা হয় এটাই আমরা চাই।’

২০০৬ সাল থেকে এনআইডি তৈরি ও সরবরাহের কাজ ছিল নির্বাচন কমিশনের। তবে এখন এই দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিতে যাচ্ছে সরকার।

শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘ডাটাবেজ যেখানেই থাকুক সবগুলো একেবারে আইডেন্টিক্যাল হতে হবে। এটায় দ্বিমত নাই। যদি আইডেন্টিক্যাল না থাকে এটা হাস্যকর হয়ে যাবে। এটা তো সিউর। এখন এটা কমিশনে আছে না অন্য কোথাও আছে, এটা তো মেটার করে না। কাজেই ভোটার তালিকার যে ডাটা নেয়া হয় সেটা থেকেই এনআইডি হয়।

‘বেসিক্যালি এখন ইভিএম হবে কি হবে না সেটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়েছে যে এই ডাটাগুলো অন্য কোথাও থাকলে ইভিএম ব্যবহারে কোনো ঝামেলা হবে কি না। টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে তো ঝামেলা হওয়ার কথা না। কারণ একই জিনিস। এখানে থাকুক আর অন্য কোথাও থাকুক।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে আমরা সবাই সেটা স্বীকার করে নিচ্ছি, অত্যন্ত সুন্দর একটা ডাটাবেজ আছে। ১৮ বছরের নিচে যারা আছে তাদের তথ্য নিতে চাচ্ছি। এখন কমিশন না অন্য কেউ নেবে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

জাতীয় পরিচয়পত্রের মালিকানা রাষ্ট্রের বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. হায়দার আলী বলেন, ‘মালিকানা হচ্ছে রাষ্ট্র। সরকারই টাকা দিয়ে এটা (এনআইডি) তৈরি করেছে। টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে ইতিবাচক, নেতিবাচক আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত কমিশন বা সরকার নেবে। তারা আরো জানবেন বিষয়টা।

‘তারপর আলোচনা করে বিষয়টা সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। ডাটাবেজ একটা জায়গায় থাকবে। কোনো কোনো দেশে কমিশনের কাছে আছে। কোনো কোনো দেশে সরকারের কাছে আছে। আমরা কোনোটাই জোর দিইনি কার কাছে থাকা উচিত।’

তথ্য বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘যেখানেই এটা ইউনিক থাকুক। ইউনিক থাকলে যেখানেই থাকুক এটা নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। টেকনিক্যাল ফিচারগুলো যদি সঠিক থাকে, ঠিকভাবে ম্যানেজ হয় যার কাছেই থাকুক কোনো সমস্যা নেই। সন্দেহের কিছু হবে না। দেশের বড় সম্পদ। সুষ্ঠুভাবে মেইনটেন হোক এবং যেখান থেকেই হোক আমরা সেটাই চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর