যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কোনো লুকোচুরি নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেইট স্থাপনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপত্র নেড প্রেইসের বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কোনো লুকোচুরি হয় না। চাইলে যে কোনো দেশ পর্যবেক্ষণ করতে পারে। আমেরিকায় ৭২ শতাংশ জনগণ মনে করে তাদের দেশে গণতন্ত্র খুব দুর্বল।
‘আর সেখানকার রিপাবলিকান পার্টির ৭৭ শতাংশ লোকজন মনে করে তাদের গত নির্বাচন ছিল ভুয়া। ভোট চুরি হয়েছে বলে মনে করে তারা। আমাদের দেশেরও কিছু লোক আছে এমন। তবে তারা সংখ্যায় খুব কম।।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) কত শতাংশ লোক ভোট দেয়? ৫০ শতাংশের কম। আর আমাদের এখানে মিনিমাম ৭২-৭৩ শতাংশ লোক ভোট দেয়। আমাদের এখানে নির্বাচন খুব অংশগ্রহণমূলক, স্বতঃস্ফূর্ত ও উৎসবমুখর।’
বাংলাদেশকে গণতন্ত্র নিয়ে জ্ঞান দেয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশের সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা যুদ্ধ করেছি মানবাধিকারের জন্য। এ দেশের প্রতিটি মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এসব আদর্শ রয়েছে। ফলে অন্যদের মাতব্বরি করে পরামর্শ দেয়ার দরকার নেই। তারা নিজেদের আয়নায় দেখুক।
‘তবে আমরা অঙ্গিকার করেছি, আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য এবং সবাইকে নিয়ে হবে। আমার দল বিশ্বাস করে, আমার ভোট আমি দেব, যারে খুশি তারে দেব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় আসেনি। যারা এসব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে।’বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে মন্তব্য করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে আমাদের পাসপোর্টের মান আরও বৃদ্ধি পাবে। তখন বহু দেশে যাওয়ার জন্য আর ভিসার দরকার হবে না। অনেক দেশ সাগ্রহে আমাদের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করতে চাচ্ছে। এটা ইতিবাচক।’তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা থাকলে আমরা অনেক উন্নত অবস্থানে পৌঁছাবো।’
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ জানান, ই-গেট চালু হওয়ায় মাত্র ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা। তবে এজন্য তাদের কাছে ই-পাসপোর্ট থাকতে হবে।
তিনি জানান, এই বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রবেশের জন্য, তিনটি বের হওয়ার জন্য। ই-পাসপোর্টধারীরা এসব গেট ব্যবহার করে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।