টানা তিন দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই সীমান্ত জেলাসহ যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রোববার ভোর থেকে বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। এমন বৈরী আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। সন্ধ্যা গড়ালেই নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ, তীব্র হয় শীত।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোনো উত্তাপ। এতে কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন তারা। হঠাৎ করেই শীত অনুভুত হওয়ায় অনেকের শরীরেই উঠেছে শীতের কাপড়।
আগাম প্রস্তুতি না থাকায় হঠাৎ শীতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। তীব্র ঠান্ডায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এমন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে কমেছে শ্রমজীবী মানুষের আয়।
চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে ভোগান্তি। আজসহ টানা তিন দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়। ছবি: নিউজবাংলা
দুর্ভোগের কথা জানাতে গিয়ে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের রিকশাভ্যান চালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘খুব শীত পড়চি। কুয়াশায় কিচু দেকা যাচ্চি না। আমরা তো সকাল সকাল বের হই। কিন্তু তখন রাস্তায় খুব একটা মানুষ থাকে না। এতে আমাদের আয় কমি গিচে।’
তীব্র শীতে ভিড় বেড়েছে ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ ও পুরোনো শীতের কাপড় বিক্রির দোকানে। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকার ফুটপাতে এমনি বসেছে বেশ কয়েকটি দোকান।
গরম কাপড় কিনতে আসা রহিমা বেগম বলেন, ‘আমরা নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ। মার্কেটে গরম কাপড়ের অনেক দাম। সেখান থেকে কাপড় কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই পুরোনো কাপড়ের দোকানে এসেছি। দাম কম হলেও এখানকার কাপড়ের মান ভাল।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘গত দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়। আজ রোববারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, যা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মৃদু শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত ছিল। এখন তাপমাত্রা কমে তা মাঝারি শৈত্য প্রবাহে রূপ নিয়েছে। তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহে রূপ নিতে পারে।’