বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লীগের হাত থেকে দেশ মুক্ত করতে হবে: রুমিন

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:০৯

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ তৈরি করব। সেই বিচার বিভাগ দল-মত-নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ দেখাবে। আমরা প্রশাসনিক সংস্কার করব। কারণ প্রশাসনে এখন লীগ ছাড়া আর কিছু নেই, পুলিশ লীগ, ক্যাডার লীগ। এই লীগের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লীগের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

শনিবার বিএনপিঘোষিত আন্দোলনের ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা বিষয়ক ২৭ দফা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউটে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবনে এই সভা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব উন-নবী-খান সোহেল।

বিএনপিঘোষিত ২৭ দফার প্রসঙ্গ টেনে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংস্কার কমিশন করব। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে তাদের দলীয় একটা বইয়ে পরিণত করেছে। সংবিধানের কিছু ধারা এমনভাবে তৈরি করেছে যে ভবিষ্যতে কোনো সংসদে এটি পরিবর্তন করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘বিনা ভোটের আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান সংস্কার করার এখতিয়ার রাখতে পারে না। এই ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ব। যে বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ। দল-মত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলব।

‘বিগত সময়ে স্বাধীনতার সপক্ষ ও বিপক্ষে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে সামনে এনে জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা জাতিকে বিভক্ত করা থেকে ফিরিয়ে আনব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ তৈরি করব। সেই বিচার বিভাগ দল-মত-নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ দেখাবে। আমরা প্রশাসনিক সংস্কার করব। কারণ প্রশাসনে এখন লীগ ছাড়া আর কিছু নেই, পুলিশ লীগ, ক্যাডার লীগ। এই লীগের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন না হবে, ততদিন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট হতে হবে। জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ দিতে হবে। সংবিধানের মালিক জনগণ। জনগণ তার মালিকানা হারিয়েছে। তাই আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ।’

রুমিন আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। আওয়ামী লীগ ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে প্রায় সব আসনে জয়লাভ করেছিল। দু-একটিতে ন্যাপ ও জাসদের প্রার্থী জয়লাভ করলেও পরে তাদের পরাজিত দেখানো হয়েছিল।

‘আমার পিতা অলি আহাদ সেই সময়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু পরে নির্বাচনের ফল বদলে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বিজয়ী দেখানো হয়। সেই থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করে এসেছে।’

রুমিন বলেন, ‘সব ক্ষমতা এক ব্যক্তির হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। রাষ্ট্রপতির কোনো ক্ষমতা নেই। তিনি কেবল জানাজা পড়েন আর ফিতা কাটেন। এর বাইরে তার আর কোনো কাজ নেই। এই ফিতা কাটা আর জানাজা পরা থেকে রাষ্ট্রপতিকে বের করে আনব আমরা। আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে আসব।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে সৃষ্ট ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রুমিন বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের সভাপতি যে অকথ্য ভাষায় একজন জজকে গালাগালি করেছেন, এটা আদালতে চলতে পারে না।’

আদালতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের দেখলে জামিন দেন না। সরকারের ইশারায় আপনারা চলেছেন। এখন এমন ঘটনার জন্য আপনারাই দায়ী।’

কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রসঙ্গ টেনে রুমিন বলেন, ‘মির্জা ফখরুল অত্যন্ত সজ্জন রাজনীতিবিদ। তাকে রাত ৩টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তুলে নেয়া হয়েছে। কারাগারে তাকে চার দিন কোনো ডিভিশন দেয়া হয়নি। হাইকোর্টে রিট আবেদন করে ডিভিশন নিতে হয়েছে। তার নাম না থাকা সত্ত্বেও তিনি জামিন পাননি। এটাই বাংলাদেশের আদালতের অবস্থা।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘পল্টনে বিএনপির জনগণের ঢল নামার ভয়ে সেখানে বিএনপিকে সভা করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। তারা এখন চামচামিতে লিপ্ত।

‘ছাত্রলীগ নেতাদের ভারে মঞ্চ থেকে ধপাস করে ভেঙে পড়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এমনিভাবে এক দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদিও ভেঙে পড়বে।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাঈদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সদস্য জহিরুল হক খোকন, সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি ও জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর