ঢাকা শহরে যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার, রেক্সিন, দেয়াল লেখা, নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার লাগিয়ে নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসব বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে পোস্টার লাগানোর স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হবে। নির্ধারিত স্থানেই কেবল পোস্টার লাগানো যাবে। নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও কেউ পোস্টার লাগাতে পারবেন না।’
শনিবার দুপুরে ডিএনসিসির দ্বিতীয় পরিষদের ১৯তম করপোরেশন সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সভায় সর্বসম্মতিতে বিষয়টির অনুমোদন দেয়া হয়।
মেয়র বলেন, ‘যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধে আইন রয়েছে। আমরা ডিএনসিসি থেকে এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও জনগণকে সাবধান করেছি। তারপরও অবৈধভাবে পোস্টার লাগিয়ে শহর নোংরা করা হচ্ছে। এটি আর হতে দেয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোরেল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি জনগণের সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে পরে থাকা ময়লা নিজ হাতে কুড়িয়ে পরিষ্কার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর থেকে শিক্ষা নিয়ে, তাকে অনুসরণ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
করপোরেশন সভায় গৃহীত আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্বান্তের মধ্যে রয়েছে- আমেরিকার মিশিগানের ডেট্রয়েড সিটির সঙ্গে ডিএনসিসির পারস্পারিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। এর ফলে সংস্কৃতি, খেলাধুলা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
জয়েন্ট ভেঞ্চারে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সর্বোপরি, দুটি দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে।
এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় গণপরিসরে স্ট্রিট ভেন্ডর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্র্যাকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্বান্ত গৃহীত হয়। ফুটপাতে হকারদের ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি ও ব্র্যাক যৌথভাবে কাজ করবে।
সভায় ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় দুই লক্ষাধিক বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শক্তি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের সিদ্ধান্ত হয়।
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান এবং ডিএনসিসির কাউন্সিলররা।