বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষের সব ধরনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আর এ সংকট সৃষ্টি করেছে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ। বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেনি বরং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে। মৃতপ্রায় আওয়ামী লীগকে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল বিএনপি।
শনিবার সিলেট নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১০ দফা আন্দোলন কর্মসূচি ও ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে’ ২৭ দফা নিয়ে এই সভার আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অতীতে যখনই দেশে গণতান্ত্রিক সংকট দেখা দিয়েছে তখনই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত করে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হয়েছে। দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ১০ দফা আন্দোলন কর্মসূচি ও রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামতের জন্য ২৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
‘আমরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চাই, দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাই এই আন্দোলনে দেশের সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো অভিযোগ ছাড়া খালেদা জিয়াকে বছরের পর বছর বন্দি করে রাখা হয়েছে। আর যারা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে তারা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে আছে।
‘দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সরকারের পছন্দমতো রায় না দেয়ায় শুধু পদত্যাগই নয়, তাকে দেশত্যাগ করতে হয়েছে। রাষ্ট্র কাঠামোর প্রতিটি ভিত্তি বিপর্যস্ত করে দেয়া হয়েছে।
‘দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন দুর্নীতি দমন না করে বিএনপি দমনে নিয়োজিত। পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে ধ্বংস করে দলীয় লোক নিয়োগ দেয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ২৭ দফা দেয়া হয়েছে।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকী এবং সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।