বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নদীর ওপরে বাঁশের খুঁটিতে ঝুলিয়ে গ্যাস লাইন নেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:০৫

নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখেছি যেভাবে গ্যাস লাইন টানা হচ্ছে, এভাবে লাইন টানার কোনো নিয়ম আমার জানামতে নেই। আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি তারা নেয় নাই। বর্তমানে নদীর ওপর দিয়ে গ্যাস লাইনের যে কাজ চলমান রয়েছে, তা অবৈধ। চলমান কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। যারা গ্যাস লাইন সংযোগ নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নরসিংদী সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের গদাইরচর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে ঝুলিয়ে গ্যাস লাইন নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার ‘ভাই ভাই টেক্সটাইল’-এর মালিক মোবারক চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা যায়, মিলের মালিক মোবারক চৌধুরী তার মালিকানাধীন ভাই ভাই টেক্সটাইলের জন্য গ্যাস সংযোগ নিতে কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না।

নুরালাপুর ইউনিয়নের আলগী বাজারের গদাইরচর ব্রিজসংলগ্ন স্থান থেকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর দিয়ে প্রায় দুই হাজার ফুট দূরত্বে গ্যাস সংযোগের কাজ চলছে। চলমান নদী খনন প্রকল্পের ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে বাঁশের খুটি দিয়ে ঝুঁলিয়ে গ্যাসের পাইপ পার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে টেক্সটাইল মালিক মোবারক চৌধুরী বলেন, ‘নরসিংদী গ্যাস অফিস থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে।’

নদীর ওপরে কাজ করার কোনো অনুমতি আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাজ এখনো চলমান। গ্যাস অফিস যেভাবে আমাকে অনুমতি দিয়েছে আমি সেভাবে কাজ করছি। যদি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি লাগে তাহলে আমি সেখান থেকেও অনুমতি নেব।

এ সময় কীভাবে নদীর ওপর দিয়ে গ্যাস সংযোগ নিচ্ছেন তার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

এ ছাড়া নদী রক্ষণাবেক্ষণে যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের অনুমতি না নিয়েই নদীর মধ্যে গ্যাস পাইপ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোবারক বলেন, ‘কাগজপত্র গ্যাস অফিসের ফাইলে আছে। আপনারা গ্যাস অফিস থেকে তথ্য নিন। ১৪৬০ মিটারের অনুমতি পেয়েছি।’

নদীর ওপর দিয়ে গ্যাস লাইন সংযোগের অনুমতি কীভাবে দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নরসিংদী তিতাস গ্যাস অফিসের ম্যানেজার মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমি অনুমোদন দিই নাই, অনুমোদন দিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। আমরা গ্যাস লাইনের অনুমোদন দিয়েছি।’

নদীর ওপর দিয়ে গ্যাস লাইন নেয়ার অনুমোদন কীভাবে দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মাকসুদ বলেন, ‘সেটা কী আপনি দিবেন নাকি আর এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদন কেন লাগবে? নদী কি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাকি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদন লাগবে না। ইউনিয়ন পরিষদ অনুমোদন দিলেই চলবে। নকশা যেভাবে পেয়েছি সেভাবে অনুমোদন দিয়েছি।’

নকশায় নদী আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নকশায় নদী আছে এটার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদনই যথেষ্ট বলে মনে করি।’

এ বিষয়ে নুরালাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম ফয়সালের সঙ্গে কথা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেহেতু তারা সরকারিভাবে অনুমতি নিয়েছে গ্যাস সংযোগ নেয়ার, আমি নিয়মমাফিক তাদের সড়কের মাটি কাটার অনুমতি দিয়েছি শুধু। নদীর বিষয়টা আমার আওতায় পড়ে না। এ ছাড়া নদীর ওপর দিয়ে গ্যাস লাইন নেয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

নদীর ওপর দিয়ে গ্যাস লাইন সংযোগের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো অনুমতি লাগে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখেছি যেভাবে গ্যাস লাইন টানা হচ্ছে এভাবে লাইন টানার কোনো নিয়ম আমার জানামতে নেই। আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি তারা নেয় নাই। বর্তমানে নদীর ওপর দিয়ে গ্যাস লাইনের যে কাজ চলমান রয়েছে তা অবৈধ। চলমান কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। যারা গ্যাস লাইন সংযোগ নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর