মাদারীপুরের পেয়ারপুর ইউনিয়নে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন।
সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া এলাকায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৫০ বছর বয়সী ভ্যানচালকের নাম কামাল মাতুব্বর। তিনি পেয়ারপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পেয়ারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে পেয়ারপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসুদ আকন গাছবাড়িয়া এলাকায় গেলে তাকে থাপ্পর দেয় সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে দুপক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুপক্ষের অন্তত ১০টি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
ওসি আরও বলেন, ‘শনিবার দুপুর ১টার দিকে ভ্যানচালক কামাল মাতুব্বর তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে কামালের স্বজনরা গুরুতর অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। নিহতের পরিবার থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন আছে।’
নিহতের বড় ভাই ফরহাদ মাতুব্বর বলেন, ‘আমরা কম বেশি ঝগড়া-ঝামেলায় থাকলেও আমার নিরীহ ভাই কামাল কোনো ঝামেলায় যায়না। সে দুপুরে আমার বোনের সঙ্গে পারিবারিক দাওয়াত দিতে যাওয়ার সময় তাকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে মেরেছে শত্রু পক্ষ। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করি।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রুবায়েদ ইবনে হাবিব বলেন, ‘গুরতর জখম নিয়ে কামালকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আসার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।’
ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘হামলায় এক নিরীহ ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা গাছবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছি। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ফের কোনো সংঘর্ষ এড়াতে পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’